ঝিনাইদহে গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পানামী গ্রামে মৌসুমি বেগম (২৫) নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মৌসুমি জেলা শহরের লাউদিয়া গ্রামের মৃত শামসুল মণ্ডলের মেয়ে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে সদর উপজেলার পানামী গ্রামের মকোদ্দেস মণ্ডলের ছেলে কৃষক রিপন মণ্ডলের সঙ্গে মৌসুমি বেগমের বিয়ে হয়। এরপর থেকে নানা ভাবে মৌসুমিকে তার স্বামী রিপন নির্যাতন করতো। এর আগে কয়েকবার বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল মৌসুমিকে। সর্বশেষ প্রায় দু-বছর আগে সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদের সমঝোতায় তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেয় রিপন।
এরপর শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি ইজি বাইকে (চালক অজ্ঞাত) বাইকে করে অজ্ঞান অবস্থায় এক নারী মৌসুমিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে সঙ্গে থাকা ওই নারী পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাই ইমামুল বলেন, আমার বোনকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে ফেলেছে। ওর হাতে আঘতের চিহ্ন আছে। মেরে দিয়ে ওরা এটিকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। আমরা সঠিক বিচার চাই।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মিথিলা ইসলাম জানান, মৌসুমিকে আমরা মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার গলায় একটি চিহ্ন পাওয়া গেছে দেখে মনে হচ্ছে রশি অথবা ওড়না জাতীয় কিছুর সঙ্গে অনেকক্ষণ ঝুলে ছিল।
ঝিনাইদহ সদর থানার উপ-পরিদর্শক জগদীস চন্দ্র বসু জানান, এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা থাকায় লাশ ময়না তদন্ত করা হবে। হয়তো সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।
হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফরিদ বলেন, বিভিন্ন সময় শাশুড়ি-স্বামীর সঙ্গে তার ঝামেলা হতো, আমি কয়েকবার মিটিয়েছি। হতে পারে এবারও কোনো কারণে তাকে নির্যাতন করা হয়েছে, কিংবা অন্য কোনো ঘটনা ঘটতে পারে যার কারণে মৌসুমির মৃত্যু হয়েছে। তবে তার শাশুাড় দর্জ্জাল প্রকৃতির ছিল।