বাড়তি আয় করতে ঝিনাইদহের কসাইয়েরা ঢাকায়
#ঝিনাইদহের চোখঃ
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মৌসুমি এসব কসাইরা কোরবানির গরু জবাই সংক্রান্ত দাম নির্ধারণ করেন গরুটি ঠিক কতো টাকা দিয়ে কেনা হয়েছে তার উপর ভিত্তি করে।
তাদের সেই হিসেবে দিতে হয় হাজার প্রতি ১ থেকে ১ শতো ৫০ টাকা পর্যন্ত। আবার অনেকে গরু দেখেও মূল্য নির্ধারণ করেন।
জানা যায়, যারা কোরবানি দেন তাদের কাছে প্রথম দাম হাকেন হাজার প্রতি ২০০ টাকা করে। পরে দাম দর করে দেড়শ টাকার মধ্যে কোরবানির গরু কাটা সংক্রান্ত চুক্তি করছেন। যন্ত্রপাতি অর্থাৎ চাপাতি-ছুরি অনেক সময় তাদের কাছেই থাকে। অনেক সময় মালিককে সরবরাহ করতে হয়। আর যারা প্রকৃত কসাই তাদের সংখ্যা একেবারেই কম। কাঠাল বাগান মাংসের দোকানে গিয়ে কথা হয় মোজাফফরের সাথে। তিনি বলেন, আমাদের এখানে যারা আছে তারা দুই তিন মাস আগে থেকে চুক্তি করে রেখেছেন।
ঝিনাইদহ থেকে বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ৭ জনের একটি দল এসেছে নিউ মার্কেট বাজার এলাকায়। তাদের মধ্যে শরিফুল, সাদ্দাম ও তরিকুল কসাইয়ের কাজে একেবারে নতুন।
বিল্লাহ জানান, সে কসাই না হলেও গত আট বছর ধরে কাজ করতে করতে এখন সে পুরে দস্তুর কসাই বনে গেছেন। দলের সবাই কাজ পারেন না। যারা নতুন তাদের হেলপার হিসেবে রাখা হবে। কাজ শেষে তারা প্রতিজন ১০ টাকার মতো আয় করতে পারবেন বলে জানান।