এক অন্য রকম ভাললাগা–রামা রহমান
#ঝিনাইদহের চোখঃ
আমার জীবনে এক অন্য রকম ভাললাগা।
ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু গ্রামে আমার বাপির ( আবিদ ) নামে প্রতিবন্ধি ছেলেমেয়েদের জন্য একটি স্কুল করেছে। ঈদের পরের দিন ছেলেমেয়ে কম ছিল । তাই ১২০ জন উপস্থিত ছিল। ১৪ জন শিক্ষক বিনা পারিশ্রমিকে বাচ্চাদের পড়াশুনা করায়। তাদের দুপুরে খাবার দেয়। সবই স্থানিয় মানুষদের সহযোগিতায়। একজন মানুষ ১৭ হাজার টাকা দিলেন – বাচ্চাদের স্কুল ড্রেস করবার জন্য।
অনেকেই প্রতিমাসে ৫০০/ টাকা করে দেয়। ৬ টি ভ্যান চালক বাচ্চাদের বাসা থেকে নিয়ে আসে ,আবার দিয়ে আসে।
এক ভ্যান চালক ভীড়ের ভিতর আমাকে দেখতে আসল । সে বলল ” কে বলিছে আবিদ চইলে গেইছে , ওই টুকু ছেইলে যদি আমাগো মত গরীবদের নিয়ে ভাবতি পারে ,তাইলে আমিতো সামান্য ভ্যানয়ালা ,,,আমি এই বাচ্চাগুলোনরে কেন বাড়ি থেকে আনতি পারব না ! আবিদ বাবাজি তো আমাগো চোখ খুইলে দিছে । ”
আমি কাঁদব না আনন্দ করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। আপাতত কিছু জায়গা একজন দিয়েছে ,সেখানে সকলের সহযোগিতায় কাঁচা ঘরে ক্লাশ নিচ্ছে। পরিকল্পনা বড়। শুধু দরকার কিছু সহযোগিতা।
শিক্ষকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সাথে কয়েকজন মানবতাবাদী মানুষ নেপথ্যে কাজ করছে । তারা হলেন অধ্যাপক আব্দুস সালাম ,জাহিদ শাওন , সঞ্জয় দা , নাসির ভাই , দীপালি দিদি , আরো একজন স্থানিয় ডাক্তার( নাম জানিনা ) সে সপ্তাহে দুই /তিন দিন বিনা পয়সায় বাচ্চাদের চিকিৎসা করেন । তাঁদের কথায় ,ব্যাবহারে মনে হল জীবন টা আসলে অনেক সুন্দর। তাঁরা বাপির( আবিদ ) গান শোনেনি ,শুনেছে কিভাবে অসহায় মানুষের পাশে মানুষের দাঁড়াতে হয়। সকলের কাছে আমার আবেদন , আসেন আমরা বাপির স্বপ্ন গুলো পুরন করি ,,ভালবাসার ইন্দ্রজালে।
কৃতজ্ঞতা জানাই আপনাদের ,,,,যাদের প্রচেস্টায় গড়ে ঊঠেছে ” শিল্পী আবিদ স্মৃতি প্রতিবন্ধি স্কুল ” ।