মালয়েশিয়ায় মৃত্যু, ঝিনাইদহে যুবকের দাফন
#ঝিনাইদহের চোখঃ
মালয়েশিয়াতে নিহত বাংলাদেশী যুবক ঝিন্ইাদহ কালীগঞ্জের মেহেদী হাসান মুন্নার (২৭) লাশ দেশে আনা হয়েছে।
রোববার বিকালে তার নিজ গ্রামে নামাজের জানাজা শেষে দাফন করা হয়। সে মালয়েশিয়াতে কর্মরত থাকাকালে গত ১১ আগষ্ট ঈদের দিন রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থার মৃত্যুবরন করেন। নিহত মুন্না কালীগঞ্জ পৌর এলাকার হেলায় গ্রামের সলেমান হোসেনের পুত্র।
নিহতের পিতা সলেমান হোসেন জানান, গত ৪ বছর আগে ধার দেনা করে তার একমাত্র ছেলে মুন্নাকে মালয়েশিয়া পাঠিয়েছিলেন। সেখানে থাকাকালে গত ১১ আগষ্ট ঈদের দিন রাতের খাবার খেয়ে সে তার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। পরদিন সকাল ১০ টার দিকে মুন্নার সহকর্মীরা কাজে যাওয়ার আগে মুন্নাকে ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে তাকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এক পর্ষায়ে মুন্নার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার রুমের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে দেখে খাটের উপর মুন্নার মৃতদেহ পড়ে আছে। এরপর বাড়ীর মালিক ও কোম্পানীর লোকজন এসে মুন্নার লাশ উদ্ধার করে। মুন্নার সহকর্মী প্রতিবেশিদের ধারনা, রাতে কোন এক সময়ে ষ্টোকে আক্কান্ত হয়ে মুন্না মারা যেতে পারে। তার মৃত্যুর ৫ দিন পর মালয়েশিয়া থেকে মুন্নার লাশ বাংলাদেশে আনা হয়। রোববার দুপুরে মুন্নার গ্রামের বাড়ী ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ হেলাই গ্রামে তার জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এদিকে বিদেশে থাকা অবস্থায় পরিবারের একমাত্র অবলম্বন পুত্র মুন্নার মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। পুত্রশোকে তার মা বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। শোকে কাতরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।