ঝিনাইদহের যুবক সুজন, কেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চান?
#মিশন আলী, ঝিনাইদহের চোখঃ
সাভারের বিরুলিয়ায় গ্রামের মহাজনী সুদ প্রথা বন্ধের জন্য আন্দোলনকারী এক সংগ্রামী যোদ্ধার নাম শ্রী সুজন বিশ্বাস।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে জন্মগ্রহন করা শ্রী সুজন বিশ্বাস ২০১২ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে। ডিগ্রীতে ভর্তি হবার পর পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-আজ রোজগারের জন্য মুদির দোকান দিয়েছিলেন তিনি।
পুঁজির জন্য দারস্থ হয়েছিলেন স্থানীয় এক মহাজনের। সুদের টাকা পরিশোধ করতে তাঁকে ধার করতে হয়েছিল অন্য মহাজনের কাছ থেকে। পৈতৃক জমি বিক্রি করেও তিনি আর ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। সুদ প্রথা তার সব আশা কে নিরাশায় পরিনত করলো। শুধু তারা নয় তাদের গ্রামের অনেকেই তাদের মতো সুদের টাকার কারণে আজ সর্বশান্ত।
এই সুদ নামের ব্যাধির কারণে অনেকে আজ পথের ফকির হয়ে ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে।
আজ তাই শিক্ষিত হয়েও মামা চাচার জোর না থাকায় পেটের দায়ে নিরুপায় হয়ে শেষ পর্যন্ত রিকসার পেডেল ধরতে বাধ্য হয়েছে।
রিকসা চালানো টাকায় একাই চালিয়ে যাচ্ছে গ্রামের মহাজনী সুদ প্রথা বন্ধের জন্য আন্দোলন। ২০১৭সালের প্রথম দিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্য বাই সাইকেল চালিয়ে সুদ প্রথা বন্ধের দাবিতে ঝিনাইদহ থেকে ৩০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ঢাকায় আসেন সুজন বিশ্বাস সেই থেকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করার জন্য ৭৯বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে হাল ছাড়েনি সুজন বিশ্বাস তার আত্নবিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী তাকে দেখা করার সুযোগ দেবেন।
সে বিভিন্ন সময় এবং জাতীয় দিবস সমূহে ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধুর ৩২নং বাড়ির সামনে, জাতীয় প্রেসক্লাব, জাতীয় জাদুঘর ও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রধানমন্ত্রীর নিকট খোলা চিঠি নামে ২০০০(দুই হাজার) লিফলেট বিতরণ করেছে।
এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে একবার দেখা করার জন্য একাধিকবার অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে।
আশা ছিল যদি কারো চোখে পড়ে কেউ যদি তাকে একটু সুযোগ করে দেয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে। তবে প্রধানমন্ত্রীকে গ্রামের মহাজনী সুদ প্রথা বন্ধের জন্য অনুরোধ জানাবে।