প্রিয়ার ঘরে নতুন অতিথির আগমন
#ঝিনাইদহের চোখঃঃ
রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় প্রাণী ‘প্রিয়া’ নামের জিরাফটি মাত্র দুদিন আগেই সন্তান প্রসব করেছে। সদ্য জন্ম নেয়া জিরাফটির নাম রাখা হয়েছে ‘শ্রাবণী’। এটি প্রিয়ার দ্বিতীয় সন্তান।
প্রিয়ার ঘরে শ্রাবণীর আগমনে চিড়িয়াখানায় জিরাফের মোট সংখ্যা আটে দাঁড়াল। অন্য ৬টি জিরাফ হলো ক্লিয়পেট্রা, ছোট রাজা, লাবণ্য, প্রিন্স, প্রভা ও প্রমীলা।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম আলাপকালে জানান, শনিবার (১৭ আগস্ট ) বেলা ১১টায় স্বাভাবিকভাবেই ভূমিষ্ঠ হয় শ্রাবণী। বর্তমানে মা প্রিয়া ও মেয়ে শ্রাবণী উভয়েই ভালো আছে।
তিনি বলেন, প্রিয়া তার সন্তানকে সবসময় আগলে রাখছে। কখনও পরম মমতায় কাছে টেনে দুধ খাওয়াচ্ছে আবার কখনোবা মুখ দিয়ে আদর করছে। চিড়িয়াখানায় আগত বেশিরভাগ দর্শনার্থী এখন সদ্য জন্ম নেয়া শ্রাবণীকে দেখতে ভিড় করছেন।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর নজরুল ইসলাম আরও জানান, ২০১১ সালে চিড়িয়াখানায় দুটি জিরাফ আমদানি করা হয়। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময় এ চিড়িয়াখানাতেই ৬টি জিরাফের জন্ম হয়। সাধারণত একটি জিরাফ গর্ভধারণের ১৫ মাস পর সন্তান প্রসব করে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে জাতীয় চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যপ্রাণীদের খাদ্য ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে চিড়িয়াখানার প্রতি দর্শনার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে জাতীয় চিড়িয়াখানায় জলহস্তী, ময়ুর এবং চিত্রাহরিণের সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি। এ ছাড়া কিছু দিন আগেই সংযোজিত হয় – একঝাঁক ইমুপার্ক পাখি, তৈরি করা হয়েছে ইমুপার্ক। নতুন প্রাণীর তালিকায় ১৩টি উট পাখি, একজোড়া উট, দুটি হাতি, এক জোড়া চিতাবাঘ, দুই জোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার ও এক জোড়া ইম্পালা যুক্ত হয়েছে।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম বলছিলেন, বর্তমানে চিড়িয়াখানায় সবুজে ঘেরা নিষ্কলুষ পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রাণীদের আবাসস্থল ও বিশ্রামের প্রতিটি শেড পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। চিড়িয়াখানার ভেতরে চলছে বৃক্ষরোপণ। রাস্তা ও রাস্তার সঙ্গেই সুপার স্ট্রাকচার তৈরি করে দর্শনার্থীদের বসার জন্য পর্যাপ্ত স্থান নির্মিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, সবমিলিয়ে এক নতুন রূপে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা।