কলকাতায় ঝিনাইদহের সোহাগ নিহত, মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার (ভিডিও)
#ঝিনাইদহের চোখঃ
সম্প্রতি ভারতের কলকাতায় চিকিৎসা নিতে গিয়ে গাড়ী দুর্ঘটনায় দুই বাংলাদেশি নিহত হন।
এ ঘটনার পাঁচ দিন পর মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছিল ঘটনার দিন তিনি গাড়িতেই ছিলেন না। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তের নাম রাঘিব পারভেজ।
দুর্ঘটনার পর প্রথমে ট্রাফিক পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করে৷ পরে তদন্তের ভার নেয় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ৷ থ্রিডি লেজার স্ক্যানার মেশিন ব্যবহার করে দুর্ঘটনাস্থলের আশেপাশের রাস্তা স্ক্যান করা হয়৷ অত্যাধুনিক গাড়ি জাগুয়ারের নির্মাতা সংস্থা এসে ইভেন্ট ডেটা রেকর্ড সংগ্রহ করেছে৷ তদন্তকারী কর্মকর্তারা লাউডন স্ট্রিট ও থিয়েটার রোডের সংযোগস্থল পর্যন্ত প্রায় ৪০-৪৫টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছেন৷ শুধু রাস্তার সিসিটিভিই নয়, খতিয়ে দেখা হয়েছে বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজও৷
বুধবার লালবাজারে জয়েন্ট সিপি ক্রাইম মুরলীধর শর্মা সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনার রাতে দুর্ঘনাগ্রস্ত জাগুয়ার গাড়িতে আরসালান পারভেজ ছিল না, সেদিনের ওই কাণ্ড ঘটিয়েছে তার দাদা রাঘিব পারভেজ৷ দুর্ঘটনার পরে তিনি বিমানে চড়ে দুবাই পালিয়ে যান৷ তাকে সাহায্য করেন তার এক মামা৷ রাঘিব শহরে ফিরতেই বুধবার বেনিয়াপুকুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার মামা হামজাকেও।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় জাগুয়ার গাড়িটির এয়ার ব্যাগ খুলে যায়৷ তখন ওই ব্যাগ চালকের মুখের ঘষা লেগে মুখে ‘সিলিকন বাইট’ এর চিহ্ন হওয়ার কথা৷ কিন্তু আগে গ্রেপ্তার করা আরসালান পারভেজের মুখে তা ছিল না৷ এতেই তদন্তকারীদের সন্দেহ হয়৷ শুরু হয় দ্বিতীয় ব্যাক্তির খোঁজ৷ ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও জাগুয়ার সংস্থার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে জানা যায় কে শেষ চালিয়েছে৷ তার নাম এবং মোবাইল নম্বরের খোঁজ পায় পুলিশ৷ তারপরই রাঘিব পারভেজকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- কাজী মুহাম্মদ মইনুল আলম (৩৬) এবং ফারহানা ইসলাম তানিয়া (৩০)। নিহত মইনুল আলমের বাড়ি ঝিনাইদহ এবং ফারহানা ইসলামের বাড়ি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, রাত দুটো নাগাদ তীব্র গতিতে একটি জাগুয়ার গাড়ি ছুটে যাচ্ছিল কলকাতার শেক্সপিয়র সরণি ধরে। সেটি যখন লাউডন স্ট্রিটের কাছে, তখন ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটি মার্সিডিজ। তীব্র গতিতে জাগুয়ারটি গিয়ে ধাক্কা মারে মার্সিডিজের পেটের কাছে। এর পর জাগুয়ারটি পিষে দেয় রাস্তার পাশে পুলিশ কিয়স্কের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা ওই দুই পথচারীকে। গুরুতর জখম ওই দু’জনকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।