#মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর বাজারটি অতিপুরাতন। কখন বা কোন সময় প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে তা তেমন কেউ বলতে পারেনি।
তবে বাজারটি অতিপুরতন বলেই সকলেই জানেন। বাজারটির নিকটেই সাফদারপুর বাজার ও ট্রেনস্টেশন রয়েছে।
খোঁজনিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ স্বাধীনের আগ থেকেই আত্রএলাকায় দোড়া বর্তমানে দয়ারামপুর গ্রামের লোকজন মন্ডল মাতবরের ভুমিকা পালন ও বিচারশালিশ করতেন।
স্বাধীনতার যুদ্ধেও গ্রামের লোকজন ব্যাপক ভুমিকা রাখেন। পাশে শুয়াদি গ্রামে পাকিস্থানীদের সাথে মুক্তিযুদ্ধের একাধিক স্মৃতি রয়েছে। দয়ারামপুর গ্রামের হাবিল ও কাবিল উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার ছিলেন। স্বাধীনের পর জেলার কোটচাঁদপুর ইপজেলার ২নং দৌড়া ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন কাবিল উদ্দিন। কথিত সর্বহারা পার্টির সদস্যেরা বীরমুক্তিযোদ্ধা ও চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দিনকে নিজ কার্যালয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। তারই ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা কাবিল উদ্দিন বর্তমানে দৌড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
গ্রামও বাজারটির ব্যবসার কারনে ব্যাপক নাম রয়েছে। কিন্তু তেমন প্রসার ঘটেনি। বাজারটিতে হাইস্কুল, দাখিল মাদ্রাসা, প্রইমারি, পেষ্ট অফিস, বালিকা বিদ্যালয়সহ নানা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
