ঝিনাইদহ সদরটপ লিড

ঝিনাইদহে ধান উৎপাদনে খরচ বাড়ছে

#মনজুর আলম, ঝিনাইহের চোখঃ

ঝিনাইদহের চাাষিরা এখন ধানের আগাছা দমনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এবছর একটু দেরিতে থেমে থেমে বৃষ্টি পাতের কারনে ধানের জমিতে আগাছা পরিমান বেশি। যে কারনে জমিতে আগাছা নাশক ব্যবহার করলে ও ভালো ফল আসেনি। ফলে কৃষকদের বিঘা প্রতি জমিতে প্রায় ৩’হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সে হিসাবে আমন মৌসুমে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৪৬ হেক্টর জমিতে কৃষকের বিপুল পরিমান টাকা আগাছা দমনে খরচ হচ্ছে।

এছাড়া ধান উৎপাদনের জন্য উপকরনের দাম বৃদ্ধি পাবার ফলে উৎপানের খরচ বাড়ছে। তবে যে সকল মাঠে ধানের চারা রোপনের পর থেকে জিমিতে প্রয়োজন মত পানির ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে অগাছা পরিমান কম বলে ভুক্তভোগি কৃষকরা জানান।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসান অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৬উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৫ হাজার ৬৪৬ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে সদরে ২৫ হাজার ৩শ হেক্টর, শৈলকুপায় ২৫ হাজার ৮৮০ হেক্টর, হরিণাকুন্ডে ১০ হাজার ৮শ হেক্টর, কালীগঞ্জে ১৯ হাজার ২৭৫ হেক্টর, কোটচাঁদপুরে ৬ হাজার ২৬১ হেক্টর, মহেশপুরে ১৮ হাজার ১৩০ হেক্টর জমি রয়েছে। আর এপরিমান আবাদ থেকে ৩ লাখ ৫ হাজার ৮৮ টন চাল উৎপাদনের টার্গেট নেয়া হয়েছে। গত বছর আমন আবাদ করা হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুরের চাষি জামিরুল ইসলাম, জানান, এবছর দেরি বৃষ্টি হয়েছে, তাও আবার থেমে থেমে। যে কারনে জমিতে আগাছার পরিমান একটু বেশি। বিঘা প্রতি জমিনুযায়ি প্রায় ৩’ হাজার টাকার শ্রমিক খরচ হচ্ছে আগাছা দমনে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেসবাহ আহমেদ জানান, এখানে সাধারণত ব্রি ধান-৫১, ৫২, ৭৬, ৭৭ এবং বিআর ২২, ২৩ জাতের আমন বেশি আবাদ করা হয়। জমিতে চারা রোপনের পর এখন চাষিরা জমিতে আগাছা দমনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আগাছা দমনে খরচ বেশি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

জেলা কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জি এম আব্দুর রউফ জানান, ঝিনাইদহে এ বছর একটু দেরিতে বৃষ্টি হওয়াতে এখানে একটু দেরিতে ফসল ফলবে। তবে আমরা কৃষকদের সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে বীজতলা তৈরিতে উদ্বুদ্ধ করেছি। গত বছরের তুলনায় কৃষকরা এ বছর বেশি আমনের আবাদ করায় আমরা সন্তুষ্ট। জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে এখানে আমন আবাদ কার্যক্রম শেষ হবে। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সারিবদ্ধ চারা রোপণ, সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগসহ সব ধরনের পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button