ঝিনাইদহে মাদার তেরেসার জন্মদিন পালিত
#ঝিনাইদহের চোখঃ
নীল পাড়ের সাদা সুতি শাড়ি, রুক্ষ চামড়া ও মায়াবী এক চেহারা- শুধু এতটুকু বললে যে মানুষটির ছবি চট করে মাথায় চলে আসে, তার নাম মাদার তেরেসা।
মহীয়সী এই নারী পৃথিবীতে মানবতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ। তিনি ছিলেন একজন ক্যাথলিক ধর্মপ্রচারক, যিনি সারাজীবন নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন মানবতার দোরগোড়ায়।
নানা সময় ছুটেছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে, কোলে তুলে নিয়েছেন পীড়ন-নিপীড়নে থাকা হাজারো শিশুদের, সেবা করেছেন অনেক অবহেলিতদের। পৃথিবীতে তাঁর অবদান কখনোই বলে শেষ করা সম্ভব নয়। মাদার তেরেসা জগতজুড়ে অনেক খ্যাতি পেয়েছেন নিজের কষ্টসাধ্য চেষ্টার কারণে, তবে পথটা এতটাও মসৃণ ছিল না যতটা না শুনতে মনে হচ্ছে। অসহায়দের নিয়ে চলাফেরার সাথে সাথে তাঁর নিজের মধ্যেও অনেক উপলব্ধি এসেছিলো যা মাদার তেরেসার নানা উক্তির মাধ্যমেই প্রকাশ পেয়েছে। এসব উক্তি যতটা শ্রুতিমধুর, ঠিক ততটাই অনুপ্রেরণামূলক।
১৯৫২ সালে মাদার তেরেসা কলকাতা নগর কর্তৃপক্ষের দেয়া জমিতে মুমূর্ষুদের জন্য প্রথম আশ্রয় ও সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলেন।
জন্ম: ২৬ আগস্ট ১৯১০; ইউস্কুপ, অটোম্যান সাম্রাজ্য
নাগরিকত্ব: ভারত (১৯৪৭-১৯৯৭)
জাতীয়তা: ভারতীয়
পেশা: ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী, ধর্মপ্রচারক।
জন্মের এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে, এবং তার নামকরণে গড়ে তোলা একটি সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান মাদার তেরেসা ব্লাডব্যাংক ঝিনাইদহ। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত কাল থেকে শুরু করে এই দিবসটি পালন করে আসছে এবং তার অনুস্বরণে স্বেচ্চায় সমাজ সেবা করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সোমবার ২৬ আগষ্ট স্বেচ্ছাসেবি এই সংগঠনটি মাদার তেরেসার ১২৯ তম জন্মদিন পালন করেন। ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
উদযাপন কালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলা মাদার তেরেসা ব্লাড ব্যাংক এর সভাপতি এস এম রবি সাধারণ সম্পাদক তারেক মাহমুদ জয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুরভী ইসলাম, সকল সদস্যবৃন্দ।
এসময় বক্তারা মাদার তেরেসার জিবনী নিয়ে আলোচনা করেন ও তার কর্মকান্ডকে হৃদয়ে ধারণ করে সামনের দিনগুলিতে আরো বেগবান করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।