যশোরে খুন হাওয়া ঝিনাইদহ এলজিইডি’র জীপ চালকের স্ত্রী ও ছেলে কোথায়?
#ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহের এলজিইডি’র জীপ চালক এটিএম হাসানুজ্জামান জগলুর (৪৯) স্ত্রী হালিমা খাতুন ও একমাত্র ছেলেকে কে বা কারা উঠিয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার গভীর রাতে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া থেকে একদল লোকজন তাদের তুলে নিয়ে যায়। এ সময় নিহত জগলুর ভাইরা ভাই এলজিইডির অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জিয়া কৌশলে পালিয়ে যান।
নিহত জগলুর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পারিবারি কলহের কারণে তার স্ত্রী হালিমার সাথে একবার ছাড়াছাড়ি হয়। পরে ঢাকায় ৮০ লাখ টাকার একটি ফ্লাট ও ৩৩ লাখ টাকার জীবন বীমা করে স্ত্রীকে ফেরৎ নেয়। ব্যাংক ও সহায় সম্পত্তি জগলু সবই স্ত্রীর নামে লিখে দেয়। তারপরও জগলুর নামে পারিবারিক আদালতে স্ত্রীর দায়ের করা ২টি মামলা চলমান রয়েছে।
এ কারণে ৬ মাস ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিল না। একজন জীপ চালকের এতো অর্থ ও বিত্তবৈভব কি ভাবে আসলো তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
জগলুর স্ত্রী ও ছেলেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কুষ্টিয়া থানার ওসি নাসির উদ্দীন জানান, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না।
যশোর কতোয়ালী থানার ওসি মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, নিহত জগলুর স্ত্রী ও ছেলে আমাদের হেফাজতে নেই। কে বা করা তুলে নিয়ে গেছে তাও আমি জানি না।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে যশোরের সাত মাইল এলাকায় ঝিনাইদহ এলজিইডির জীপ চালক এটিএম হাসানুজ্জামান জগলুকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এর আগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তিনি ঝিনাইদহ এলজিইডি’র ডরমেটরি থেকে আত্মীয় বাড়ি দাওয়াত খেতে যাওয়ার কথা বলে বের হন। নিহত গাড়ি চালক এটিএম হাসানুজ্জামান জগলুর কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার জুগিয়া গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলামের ছেলে। বুধবার নিহত জগলুর লাশ যশোর আড়াইশো বেড হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে তার শেষ কর্মস্থল ঝিনাইদহ এলজিইিডিতে আনা হয়। বাদ এশা তার নামাযে জানাযা শেষে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার জুগিয়া গ্রামে দাফন করা হয়।