#ঝিনাইদহের চোখঃ
সদ্য জাতীয়করণকৃত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ সরকারী মাহতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মোঃ মাহবুবুর রহমানকে যোগদানে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, হাই কোর্ট, শিক্ষা মন্ত্রনালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অধ্যক্ষকে স্বপদে বহাল করার আদেশটিও মানা হচ্ছে না।
অভিযোগ উঠেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুক এক চিঠিতে অধ্যক্ষ মাহবুবকে যোগদান করার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকেও নির্দেশ দিয়েছেন।
আর এই কালক্ষেপনের সুযোগে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল উচ্চ আদালতে একাধিক রিট করে ফলাফল না পেয়েও বিভিন্নভাবে যোগদানে বাধার সৃষ্টি করছেন।
এদিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল অপরিচিত মোবাইল থেকে বিভিন্নভাবে গুমকি প্রদান করছেন। ফলে বাধ্য হয়ে ড. মাহবুবুর রহমান হুমকীদাতা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেছেন, যার নং ১২৫৪/১৯।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ২৭ অক্টোবর বিধি বর্হিভুত ভাবে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। দীর্ঘ ৫ বছর আইনী পক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ১১ ফেব্রয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে মাহামান্য হাই কোর্টের ১০৩২/১৬ রীট পিটিশনের ভিত্তিতে তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল হন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে অধ্যক্ষ ড. মাহবুবকে যোগদান করার জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মন্ডলকে নির্দেশ দিলেও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে ক্যাম্পসে যেতে বাঁধা সৃষ্টি করছেন।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডলের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি কাওকে ফোন করে হুমকি দেইনি। তিনি উদ্ধৃতন কতৃপক্ষের আদেশ পেয়ে কলেজে এসে চার্জ বুঝে নিলে আমি অব্যশই তাকে দায়িত্ব হস্তান্তর করবো বলে জানান। তিনি আরও বলেন, আমি কোন রাজণীতি করি না। যে গুলো অভিযোগ করা হয়েছে তা ভিত্তিহিন।
তবে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্না রানী সাহা রোববার সকালে জানান, অধ্যক্ষ ড. মোঃ মাহবুবুর রহমানের কাগজপত্রে স্মারক ও তারিখ ভুল আছে। মন্ত্রনালয় থেকে আদেশ পেলেই ও স্বারক ও তারিখ ঠিক করে আনলেই আমি যোগদান করিয়ে নেব।
অধ্যক্ষ ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, স্মারক ও তারিখ ভুলের বিষয়টি অজুহাত মাত্র।