ঝিনাইদহ-সহ ২১ জেলার ছয় লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে
#ঝিনাইদহের চোখঃ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় চাহিদা পূরণের লক্ষে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা সম্প্রসারণ ও পরিবর্ধন প্রকল্প কাজ চলছে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে এক হাজার ৬৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ইতোমধ্যেই ২২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২১ সাল নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ছয় লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে। এতে এ অঞ্চলে শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
ওজোপাডিকো’র স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়েছে।
সরকারের ভিশন-২০২১ সালে শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিতকরণ, সিস্টেমলস হ্রাসকরণ, বিদ্যুৎ বিভ্রাট কমিয়ে আনার লক্ষেই এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য।
প্রকল্প আওতাভুক্ত জেলাগুলো হল খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়াতপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাটি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা। এ প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার নতুন লাইন স্থাপন, ২ হাজার ৩০০ কিলোমিটার লাইন নবায়ন ও ১১/৪ কেভি বিতরণ ট্রাসফার্মার ২ হাজার ৫৩০টি। প্রকল্পের এক হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা সরকার যোগান দিচ্ছে; বাকী ৫০ কোটি টাকা ওজোপাডিকো’র।
ওজোপাডিকো’র খুলনাস্থ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মোঃ সাইফুজ্জামান বলেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে রাস্তার পাশে বিতরণ ট্রান্সমিটারের ঘাটতি পূরণ হবে। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ অঞ্চলে গড়ে উঠা নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিদ্যুতের যে চাহিদা সৃষ্টি হবে, তা পূরণ হবে। সাব-স্টেশনগুলোর ক্ষমতার ঘাটতি পূরণ হবে। ৩৩ কেভি উৎস সাড়ে চারশ’ কিলোমিটার লাইন নির্মাণ হবে।
ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ শফিক উদ্দিন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্যই পদ্মার এপারের একুশ জেলার গ্রাহকদের নিরবিচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে ওজোপাডিকো। কোম্পানির লক্ষ্য হচ্ছে সকলের জন্য সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য, টেকসই ও আধুনিক জ্বালানী সরবরাহ করা।
এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেগাওয়াট, এক লাখ ৫০ হাজার কিলোমিটার বিতরণ লাইন নির্মাণ ও পুনর্বাসন, ৪৮০টি উপকেন্দ্র নির্মাণ ও আধুনিকায়ন, নতুন ৭০ লাখ গ্রাহককে সংযোগ দেয়া, ৩০ হাজার গ্রাম বিদ্যুতায়ন করা, এক লাখ ৯০ হাজার ওভারলোড বিতরণ ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপনসহ নানা কর্মসূচির কথাও জানান ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সম্প্রতি খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপরোক্ত তথ্য তুলে ধরেন।