সৌন্দর্যের লীলাভূমি ইবি লেক
#ঝিনাইদহের চোখঃ
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম প্রতিষ্ঠিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এর সব থেকে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমাংশে অবস্থিত ইবি লেক।
যার সুনাম সুখ্যাতি কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। এ লেকটিকে অনেকে ইবির মিনি হাতির ঝিল নামেও আখ্যা দিয়েছেন।
https://www.youtube.com/watch?v=0xVUqoZhC2M
দৃষ্টিনন্দন এ লেকটি হওয়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিমাঞ্চলটি এখন সৌন্দর্যের সেরা স্থান হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। একটি সময় এই জায়গাটি কাদামাটি আর পচা দুর্গন্ধে ভরপুর ছিল।
আর সেই জায়গাটি বর্তমান প্রশাসনের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা সৌন্দর্যের একটি জায়গায় পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী এই লেকটি উদ্বোধন করেন। কেন্দ্রীয় মসজিদ পেরিয়ে ক্যাম্পাসের পশ্চিমাংশে নয়ন জুড়ানো সবুজে ঘেরা সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ লেক।
বিশাল এই লেকের পার ধরে দুই পাশে হাঁটার জন্য রাস্তা এবং বসার জায়গা নির্মিত রয়েছে। নানা পাখির কণ্ঠের সুরেলা আওয়াজ শোনা যায় এই লেকটিতে, চোখে পড়ে নানা অতিথি পাখিও। আকাশে উড়ে বেড়ানো রঙ বেরঙের ঘাস ফড়িং ও প্রজাপতিতে পরিবেশ আরও বেশি সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়ে ওঠে।
বিকেলের অবসর সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইবি লেকে ঘুরতে যায়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, দূর দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটকরাও বিকেল হলে তাদের বিকেলটা আরো প্রাণবন্ত করতে ছুটে আসে এই লেকের পারে। কেউ আড্ডায় মেতে উঠে, কেউ বিকেলটা স্মৃতির পাতায় ধরে রাখতে ছবির ফ্রেমে নিজেদেরকে আটকে রাখতে প্রতিদিন সুমধুর সময় অতিবাহিত করেন।
রাতের বেলা লেকের সৌন্দর্য আরো বিমোহিত করে তোলে শিক্ষার্থীদেরকে। প্রাণ জুড়ানো এ সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে লেকের পারে ছুটে আসে সবাই।
বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলো লেক জুড়ে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া পিকনিক স্পট হিসেবে এবং ফটোশুটের জন্য এ জায়গাটি বিশেষভাবে পরিচিত। শুধু তাই নয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং পর্যটকদের পদভারে সদা প্রাণচঞ্চল থাকে ইবির এ লেক।
লেখক: মাথিয়া ঐশী : শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।