কালীগঞ্জ

সড়ক দুর্ঘটনায় কালীগঞ্জে আহত ৫

সাবজাল হোসেন, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাককে সাইড দিতে গিয়ে বেপরোয়া গতির গড়াই পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশের একটি মটর গ্যারেজে আঘাত করেছে।

এ সময় গ্যারেজে শ্রমিক ও বাসের চালকসহ কমপক্ষে ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বিকাল ৩ টায় খুলনা -কুষ্টিয়া মহাসড়কের ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের বৈশাখী তেল পাম্পের মোড়ে।

আহতদেরকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বাসচালক গঞ্জের আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী তরুন মিয়া ও কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, কালীগঞ্জ শহরের বৈশাখী তেল পাম্পের মোড়ে সড়কের পাশে একটি ট্রাক দাড়ানো ছিল। এ সময় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা বেপরোয়া গতির গড়াই পরিবহনের রাজ মেট্রো-ব-১১-০০৩৮ নম্বরের রাসেল নামের একটি বাস ট্রাকটিকে সাইড দিতে গেলে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পাশের একটি মটর গ্যারেজে সজোরে ধাক্কা দেয়।

এ সময় গ্যারেজ শ্রমিক কালীগঞ্জ উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে মানিকুর রহমান (২৭) বাসচালক জেলার সদর উপজেলার কোলা গ্রামের তাজ মন্ডলের ছেলে গঞ্জের আলী (৪৩) সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য,এ সড়কের গড়াই পরিবহনের সকল বাসই বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে। যে কারনে প্রায়ই ঘটে দূর্ঘটনা।

কালীগঞ্জ শহরের নিমতলা বাসস্ট্যান্ডের হোটেল শ্রমিক এমামুল হক জানান, গত ৩ দিন আগে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে একইভাবে কালীগঞ্জের দিকে আসা দ্রæত গতির একটি গড়াই গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানের ৩ যাত্রী মারাত্বক আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা পঙ্গুতে পাঠাতে হয়েছে।

আসলাম হোসেন নামে একজন অভিযোগ করেন, খুলনা – কুষ্টিয়া মহাসড়কে চলাচলরত গড়াই গাড়ি যাত্রী নিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে।

সচেতন মহলের বক্তব্য যাত্রীবাহী এ বাসগুলো টার্মিনালে অনেক সময় ব্যয় করে সড়কে চলাচল শুরু করে। সকল স্টপিজে অযথা সময় নষ্ট করে পরে সময়মত পৌছাতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। এ জন্য অহরহ দূর্ঘটনায় পড়ে প্রান হানীর ঘটনা ঘটে। এমনকি এ সকল গাড়িতে থাকা যাত্রীরা গতির কারনে ভয়ের মধ্যে যাতায়াত করে থাকে। বিষয়টি প্রশাসন , মটর মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি দেয়া উচিত। কেননা একটি দূর্ঘটনা হতে পারে একটি পরিবারের জন্য সারা জীবনের কান্না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button