মোঃ হাবিব ওসমান, ঝিনাইদহের চোখঃ
সাপের কামড়ে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় পল্লী এলাকার মানুষ।
গ্রামাঞ্চলে সাপের কামড়ে মৃত্যু ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। বর্ষা আসলেই সর্প দংশনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সর্প-দংশনে প্রধানত দরিদ্র জনগণ আক্রান্ত হয় যাদের অনেকেরই ওষুধপত্র ক্রয়ের আর্থিক সঙ্গতি নেই। সরকারী চিকিৎসা সেবায় এদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্রধানতম উপায়।
সর্প-দংশনে মৃত্যুবরণ করাটা আধুনিক বিশ্বে খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা। কেননা সর্প দংশন প্রবণ এলাকাগুলোতে ইনজেকশন সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা কাঠামো তৈরি করা গেলে বংলাদেশে সর্প-দংশনে মৃত্যুর হার শূন্যের কাছাকাছি নিয়ে আসা সম্ভব হতো।
সাপে কামড়ানো রোগীদের জন্য উন্নত চিকিৎসা থাকলেও ঝাড়ফুঁকের জন্য বেশির ভাগ লোক মূল্যবান সময় নষ্ট করে। যার কারনে একটা সময় রোগীকে আর বাচানো সম্ভব হয় না। দ্রæত হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য নেওয়া হলেও সরকারি হাসপাতালগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে না প্রয়োজনিত সাপে কাটা ঔষধ এন্টিভেনম।
এরমধ্যে ৪ অক্টোবর ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের সুন্দরপুর গ্রামে সাপের কামড়ে রামজান আলী (৫০) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত ভাগাই সরদারের ছেলে।
পারিবারিকসূত্রে জানাগেছে , রমজান আলী মাঠে ঘাস কাটছিলেন। সে সময় একটি বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। পরে সে দৌড়ে বাড়ি আসলে পরিবারের লোকজন তাকে গ্রাম্য ওঝার কাছে নিয়ে ঝাড়ফুক করে বাড়ি নিয়ে আসে। কিছুক্ষন পরে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পথিমধ্যে বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে তিনি মারা যান।
কালীগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হোসাইন সাফায়াতের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলায় এসব সাপে কাটা রোগীর ঔষধ রাখা হয়না। এগুলো মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং কিছু কিছু জেলা সদরে থাকে।
অনেক সময় সাপে কাটার রোগী আসলে, যশোর ও ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু করার নেই। আমাদের না দিলে আমরা কোথা থেকে পাবো। এটা সত্য, সঠিক সময়ে সাপে কাটা রুগির শরীরে ইনজেকশন করলে এন্টিভেনম শরীরে থাকা ভেনমকে অকার্যকর করে রুগির জীবন বাচায়। কিন্তু আমরা এক্ষেত্রে কিছু করতে পারি না। ঔষধ নেই কোথা থেকে দিব।
তিনি আরো জানান, এই এন্টিভেনম ওষুধে পাশর্^ প্রতিক্রিয়াও দেখা দিতে পারে এতে হার্টের সমস্য হতে পারে।