মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহের চোখঃ
কোচিং এর যুগে বিনা কোচিং-এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে রুবাইয়া খাতুন । তার মেধা স্কোর-২৪৪ (‘খ’ ইউনিট)।
শুধু রুবাইয়া নয় বিনা কোচিং এ গতবছর একই বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে তারই ভাই রুহান উল করিম। ‘ঘ’ ইউনিটে তার স্কোর ছিল ১০৪৮।
রুহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামিক স্টাডিজ এ পড়ছে। অথচ কোচিং সেন্টার দাপিয়ে বেড়ানো রুহান ও রুবাইয়ার অধিকাংশ সহপাঠিরই ঠাঁই মেলেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রুবাইয়া ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের হরিগোবিন্দপুর গ্রামের ফজলুল করিম ও নার্গিস বেগম দম্পতির সন্তান। ফজলুল করিম পেশায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগরিক ও মা নার্গিস বেগম, গৃহীনি।
রুবাইয়া উপজেলার মস্তবাপুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ এবং শহীদ নূর আলী ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসিতে মানবিক বিভাগে জিপিএ ৫ পেয়েছিল। ভাই রুহান উল করিম একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ এবং একই কলেজ থেকে জিপিএ ৪.৪২পেয়েছিল।
রুবাইয়ার বাবা ফজলুল করিম জানান, আর্থিক যোগান দিতে না পারায় দুই ছেলে মেয়ের একজনকেও কোচিং করানো সম্ভব হয় নি। অথচ দুই জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। তিনি জানান, রুবাইয়াকে কোচিং করতে না দেওয়ায় অনেকে অনেক কথা বলেছে। তারপরও ভরসারস্থল ছিল গত বছর বিনা কোচিং এ ছেলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়া। ছেলের পরামর্শ এবং নিজের অভিজ্ঞতায় রুবাইয়াকে পড়াশুনার ব্যাপারে সঠিক গাইড লাইন দিতে পেরেছি। ফল¯্রুতিতে সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।
ফজলুল করিম জানান, মানবিক বিভাগ থেকে পাশ করা কোনো শিক্ষার্থী যদি এস এস সি বাংলা দ্বিতীয় পত্র বইটি ভালোভাবে রপ্ত করতে পারে এবং সাধারণ জ্ঞানের উপর ভালো দখল আনতে পারে তাহলে ওই শিক্ষার্থীর যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স হবেই। রুহান ও রুবাইয়ার গর্বিত পিতা মাতা সকলের কাছে তার ছেলে-মেয়েদের জন্য দোওয়া চেয়েছেন।
উল্লেখ্য এই দম্পতির বড় ছেলে রিফাত উদ্দিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরাকারী এম এম কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ে ৩য় বর্ষে পড়াশুনা করছে ।