ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার রায়গ্রামের গোবরাইল গ্রামের বন্যা মজুমদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদে ভর্তি পরিক্ষায় সমন্বিত মেধা তালিকায় ১০২ তম স্থান অর্জন করেছেন।
বন্যা মজুমদার রায়গ্রাম বাণীকান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ অর্জন করেন। আর্থিক সংকটের কারনে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি হন আলহাজ্ব আমজাদ আলী ফয়জুর রহমান মহিলা কলেজে মানবিক বিভাগে। ২০১৯ সালে এইচএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করে অর্জন করেন জিপিএ ৫। এর আগেও অষ্টম শ্রেণিতে পেয়েছিল ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি।
এ ছাড়াও বিভিন্ন সৃজনশীল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে অনেক পুরষ্কার অর্জন করেছেন বন্যা মজুমদার।
বাবা রাম মজুমদার কাজ করেন অলংকার তৈরির প্রতিষ্ঠানে। মা নীপা মজুমদার বাসায় বসে সেলাই মেশিনে কাজ করেন। চার বোনের মধ্যে বন্যা ৩য় সন্তান।
বাবা মায়ের সামান্য রোজগারে সংসার চালনা দুরহ, সেখানে সন্তানদের পড়াশুনার খরচ যোগানো কষ্টসাধ্য। আলোকিত মানুষ হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষায় বন্যা মজুমদার বাসায় অন্য শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়ে নির্বাহ করতেন নিজের লেখাপড়ার খরচ।
কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রকৃতির মাঝে চলমান জীবন থেকে শিখে আঁকতেন ছবি। যা তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা অনুষদে ভর্তি পরিক্ষায় সাফল্য এনে দিয়েছে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য কোন কোচিং সেন্টারেও ভর্তি হয়নি সে।
জীবন একটি সৃজনশীল পথ। সেই সৃজনশীল পথের আলোক শিখা ধরার প্রত্যাশায় বন্যা মজুমদার এগিয়ে যেতে চান জানার গন্ডি ছাড়িয়ে অপরিচয়ের উদ্দেশ্যে।
মনের ক্যানভাসের ছবিগুলো রূপ দিতে চান ক্যানভাসে, সেখানেও যুক্ত করতে চান প্রযুক্তির নতুন কোন শাখা। তার এই সাফল্যে শিক্ষক, বাবা-মা, দাদা, দিদিসহ সকল সুহৃদের প্রতি সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। বন্যা মজুমদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে আলোকিত মানুষ হওয়ার স্বপ্ন দেখে। সে জন্য সকলের নিকট আর্শীবাদ কামনা করেছেন।