ঝিনাইদহের মেধাবীর পাশে মাগুরা জেলা প্রশাসক ও চেয়ারম্যান
ঝিনাইদহের চোখঃ
দারিদ্রকে হার মানিয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষা বর্ষে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে মাগুরা সদর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের মেধাবী ছাত্র লিটন হোসেন। কিন্তু অর্থাভাবে মেডিকেলে ভর্তি অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।
জানা গেছে, লিটন হাটগোপালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ ৫ ও ঝিনাইদহ কেসি কলেজ থেকে এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৯২ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। লিটনের বাবা কৃষক সিরাজুল ইসলাম বিগত পাঁচ বছর আগে গাছ থেকে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। পরিবারের বড় ভাই সামান্য কৃষি কাজে সংসার চালান। মা আলেয়া বেগম মানুষের কাছ সাহায্য নিয়ে ছেলের লেখাপড়া খরচ জুগিয়েছেন। লিটনের প্রচেষ্টা ও এলাকার শিক্ষানুরাগী মানুষের সহায়তায় দিনরাত পরিশ্রম করে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে।
এ সময় লিটনের পাশে দাঁড়ালেন মাগুরা জেলা প্রশাসক আলী আকবর ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুন্ডু।
রবিবার মাগুরা জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিটনের হাতে মেডিকেলে ভর্তির জন্য ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা তুলে দেন। এছাড়া পরবর্তি সময়ের লেখাপড়ার ব্যয় বহনের আশ্বাস দেন তারা।
এছাড়া মোরাল প্যারেন্টিং নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লিটনের লেখাপড়ার আংশিক খচর বহনের জন্য সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। লিটন মাগুরা সদরের শ্রীরামপুর গ্রামের হতদরিদ্র সিরাজুল ইসলাম ও আলেয়া বেগমের ছেলে।
জেলা প্রশাসক আলী আকবর বলেন, লিটনের মত মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য জেলা প্রশাসনের দ্বার সব সময় উন্মুক্ত। টাকার অভাবে তার লেখাপড়া যেন বিঘ্নিত না হয় সেদিকে আমরা সব সময় খেয়াল রাখছি।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ কুন্ডু জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার হিসেবে উন্নত আগামী গঠনে বর্তমান মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে শিক্ষা সহায়তা দেয়া হচ্ছে। গরীব ও মেধাবী লিটন হোসেনের পাশে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। সে যেন একজন ভাল ডাক্তার হয়ে মানব সেবায় কাজ করতে পারে সেই দোয়া করি।
মেধাবী লিটন হোসেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, পরিবারিক অনটনের কারণে অনেক সময় দু’বেলা খেতেও পারিনি। কিন্তু লেখাপড়া কখনো ছেড়ে দেয়নি। আর এ কাজে আমাকে সকল পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ ও সমাজের দানশীল মানুষ যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তাতে আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ।