ঝিনাইদহে স্বাবলম্বী ময়নার পেছনের গল্প
সাজ্জাদ আহমেদ, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচির প্রশিক্ষণে স্বাবলম্বী ময়না। ছদ্ম নাম ময়না, বয়স ২১ বছর।
দুইবোন এক ভাই মিলে তাদের পাঁচ জনের সংসার। পিতা আব্দুল মতিন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ভ‚মিহীন কৃষক ও মা গৃহিনী। কৃষি কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়ে তাদের খেয়ে না খেয়ে কোন মতে সংসার চলে। ময়না মেধাবী ছাত্রী হওয়া সত্তে¡ও দারিদ্র্যতার কাছে হার মেনে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতেই তার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
তার ইচ্ছে ছিল যে কোন ধরণের কাজ করে, সে স্বাবলম্বী হয়ে সংসারের সাহায্য করবে। এভাবে অনেক দিন অতিবাহিত হলেও সে কোন রকম স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছিল না। এ সময় তার জীবনে আর্শিবাদ হয়ে আসে, ব্র্যাক দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রোগ্রেস। ব্র্যাকের কর্মসূচী সংগঠক সুমিত্রা দিদির মাধ্যমে প্রোগ্রাম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে সে ইলেক্ট্রনিক্স মোটর রিওয়ান্ডডিং ও রিপিয়ারিং ( ইএমআর) ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিতে রাজি হয়। তারপর দীর্ঘ চার মাস তার নিজের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, ওস্তাদের সার্বিক সহযোগীতায় ও ব্র্যাকের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সে একজন দক্ষ কর্মী হিসেবে নিজেকে তৈরি করে।
এখন সে বন্ধু ইলেক্ট্রনিক্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপার্জন করে সংসারে আর্থিক ভাবে সাহায্য করছে। তার মাসিক আয় ৪০০০টাকা। সে এখন সংসার ও সমাজে চাকুরীজীবি এবং আত্মনির্ভরশীল ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
ময়না ভবিষ্যতে নিজে কোন ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে। ব্র্যাকের কাছে কৃতজ্ঞ তাকে কাজ শিখার সুযোগ তৈরী করার জন্য।