মো আজাদ, ঝিনাইদহের চোখঃ
শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষকরাই পারে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়া শিখিয়ে মানুষের মত করে গড়ে তুলতে।
কিন্তু যখন শিক্ষকরাই ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ভুল বুঝিয়ে বাড়তি টাকা আদায় করে থাকে তা হলে শিক্ষকদেরকে মানুষ কি বলবে?— এভাবেই কথা গুলো বললেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার অসহাই এক ছাত্রীর পিতা দেলোয়ার হোসেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, মহেশপুরের ফতেপুর সামছুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক সরকারী নির্ধারিত ফি ১৪৪৫ টাকার পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পুরনে নিচ্ছেন ২৩৬৫ টাকা । আমি অসহায় এ কথা জানালেও রাজ্জাক স্যার আমার কাছ থেকে ২৩৬৫ টাকা নিয়েছেন।
এদিকে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জানান, সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে এ ধরণের কর্মকান্ডে। তিনি ইতি মধ্যে যশোর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান,পরীক্ষা নিয়নন্ত্রকসহ বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ফতেপুর সামছুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, কয়েক ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে কেন্দ্র ফি, বোর্ড ফি, প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ফি সহ ২৩৬৫ টাকা নিয়েছিলাম। পরে আমরা তা ফেরত দিয়েছি। আমরা আর অতিরিক্ত ফি নেবো না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্তকর্তা আমজাদ হোসেন জানান, আমি শুনেছি তিনি বোর্ড নিধারিত ফির তুলনায় অনেক বেশী নিচ্ছেন। আমি নিষেধ করে দিয়েছি। তার পরও অতিরিক্ত ভাবে কেউ আদায় করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষা কর্তকর্তা আরো জানান, প্রকৃত পক্ষে কেন্দ্র ফি সহ বোর্ড ফি বিজ্ঞান ১৯৭০ ও মানবিক ১৮৫০ টাকা।