সাংবাদিক নয়ন খন্দকারের পিতার জানাযা সম্পন্ন
সাবজাল হোসেন, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের সাংবাদিক নয়ন খন্দকারের পিতা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আলহাজ¦ আব্দুল জলিল (৭৫) হার্ট ষ্টোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেছেন। ( ইন্নালিল্লাহে……..রাজেউন )।
শুক্রবার সকালে সাড়ে ৮ টায় খুলনা ফরটিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরন করেন। মরহুম স্ত্রী,২ পুত্র ও ২ কন্যা সন্তান সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মরহুমের পুত্র কালীগঞ্জ শহরের আড়পাড়া নদীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দৈনিক কালের কন্ঠ ও সমাজের কথার কালীগঞ্জ প্রতিনিধি নয়ন খন্দকার জানান, বৃহস্পতিবার তার পিতা আব্দুল জলিল হঠাৎ বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর দ্রæত তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে খুলনা ফরটিপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় (শুক্রবার) সকাল ৮ টায় তিনি মারা যান। দুপুরে মরহুমের মরদেহ কালীগঞ্জে আনা হলে মরহুমের স্বজন, শুভাকাঙ্খি ও সংবাদকর্মিরা ছুটে আসেন। বিকালে শহরের শেখ রাসেল মিনি ষ্টেডিয়াম মাঠে প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্টিত হয়। এ সময় মরহুমের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন,কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, ঝিনাইদহ ডিবির ওসি আনোয়ার হোসেন, কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান, নবচিত্রের প্রধান সম্পাদক আলহাজ¦ শহিদুল ইসলাম, জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি আব্দুল্লাহ মিন্টু, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জামির হোসেন ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুক্তার হোসেনসহ স্থানীয় কর্মরত সাংবাদিক, স্থানীয় হাজী কল্যাণ সমিতি, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ কালীগঞ্জের সুধীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
এরপর মরহুমের মরদেহ নিয়ে তার গ্রামের বাড়ী খুলনার তেরখাদার উপজেলার নাচুনিয়া গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মরহুম অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল জলিল ২০০৩ সালে চাকুরী থেকে অবসরে যান। এরপর জীবদ্দশায় তিনি কালীগঞ্জ হাজী কল্যান সমিতি, মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িত ছিলেন। তার মৃত্যুতে কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শোক বিবৃতি প্রদানসহ শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভির সমবেদনা জানানো হয়েছে।