মধুহাটি ইউপি নায়েবের বিরুদ্ধে কর পরিশোধ রশিদ ছিড়ে ফেলার অভিযোগ
মনজুর আলম, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের নায়েব ইলতুত মিসের বিরুদ্ধে কৃষকের ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ (স্থানীয় ভাষায় দাখলে) ছিড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার (২ডিসেম্বর) ইউনিয়নের বাজার গোপালপুরে অফিস সময়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগি কৃষক ইউনিয়নের মামুনশিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে লাল মিয়া বলেন, প্রয়োজনীয় কাজে দাখলের (ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ) জন্য আমি ইউনিয়ন নায়েব অফিসের গিয়ে ছিলাম। দীর্ঘ কয়েক মাস ঘুরছি। এক পর্যায়ে নায়েব বলেন, বাড়ির জমির ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ আনলে অন্য জমিরটা দেয়া হবে। তিনি জানান (লাল মিয়া), আমি দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর মামুনশিয়া গ্রামের বাড়ির জমি বিক্রি করে ডাকবাংলা বাজারের বসবাস করছি। এরপরও নায়েব বলেন, তাহলে বিক্রির করা জমির দলিল দেখাতে হবে। এভাবে বিভিন্ন আজুহাতে ঘুরাতে থাকে। একপর্যায়ে গতকাল সোমবার (২ডিসেম্বর) বাজার গোপালপুর ভুমি অফিসে যাই এবং পূর্বের দাখলে (ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ) দেখে আমাকে নায়েব দাখলে দিতে রাজি হয়। তবে তিনি ৩’ হাজার ১’শ টাকা দিতে হবে দাবি করে। আমি তাকে ২’হাজার ৫’শ টাকা দিয়ে দিই। পরে মাত্র ১৬ টাকার (ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ) দাখলে আমাকে দেন। আমি বাকি টাকার কথা জানতে চাই। একপর্যায়ে তিনি পূর্বের (ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ) দাখলে ছিড়ে অফিসের পেছনের জানালা দিয়ে ফেলে দেয়। বিষয়টি আমি আমার ওয়ার্ড মেম্বরকে মোবাইল করে জানালে অবস্থা বেগতিক দেখে, তিনি (নায়েব) তড়িঘড়ি করে টাকা ফেরৎ দেন। পরে লোকজন আসলে ছিড়ে ফেলা সেই(ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ) দাখলেটি কুড়িয়ে মেম্বরসহ লোকজনের নিকট রাখি বলে জানান তিনি। তবে শুধু লাল মিয়ারই নয়, এই নায়েবের বিরুদ্ধে ইউনিয়নের একাধিক কৃষকের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ২নং মধুহাটি ইউনিয়নের অভিযুক্ত নাযেব ইলতুত মিশের নিকট মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো ভুমি উন্নয়ন কর পরিশোধ রশিদ ছিড়িনি। আমার অফিসে দালাল মুক্ত করার জন্য কিছু লোকজনকে আমি বের করে দিয়েছি। আর কিছু লোক তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও তিনি অভিযোগ করে বলেন।
তবে হয়রানি থেকে রেহাই পেতে জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে একাধিক ভুক্তভোগি কৃষক।