কালীগঞ্জে এ.বি. প্রতিবন্ধী বিদ্যলয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন
মিশন আলী, ঝিনাইদহের চোখঃ
কালীগঞ্জে এ.বি. প্রতিবন্ধী বিদ্যলয়ে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও ২শ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে খাতা-কলম ও পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত আনোয়ারুল আজীম আনার ও আলহাজ বদরউদ্দীন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) বিদ্যালয় ও চ্যালেঞ্জার মানব উন্নয়ন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন-এর অর্থায়নে উলেখিত বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও ২০০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে ২০টি করে খাতা এবং ২০টি করে কলম সহ পুষ্টিকর খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সাংবাদিক ও কলামিষ্ট আলহাজ্ব এম.এ. কাদের মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের দাতা ও প্রতিষ্ঠাতা ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ কৌশিক খান, দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শহিদুল ইসলাম ও শহীদ নূর আলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ রাশেদ সাত্তার তরু সাংবাদিক শিপলু জামান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি আনিচুর রহমান মিঠু মালিতা।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসিকতা ও বলিষ্ট নের্তৃত্বের কারণে ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ত ও মা-বোনদের ইজ্জতের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে বিশ্বের দরবারে আজ বাংলাদেশের পতাকা স্থান পেয়েছে এবং তিনি এদেশ দ্রুত উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ অতিথি উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কৌশিক খান বলেন, মহান বিজয় দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে এপ্রজন্মের শিশু কিশোরদের জানতে হবে। তিনি শিক্ষার্থীদের সামনে মুক্তিযুদ্ধের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরেন এবং সেই সাথে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধা তাদের মাঝে পৌছে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
দৈনিক নবচিত্র পত্রিকার প্রধান সম্পাদক আলহাজ্ব শহিদুল ইসলাম জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাংসা করে বলেন তিনি সারাদেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন এরই ধারাবাহিকতায় এই বিদ্যালয়টি জন্মলাভ করেছে। তিনি শিক্ষক কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন মায়ের আদর স্নেহ দিয়ে তাদের লেখা পড়া শেখাতে পারলে অনেক প্রতিবন্ধী শিশু সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে, এতে ঐ পরিবারগুলোর মাধে স্বস্তি ফিরে আসবে।