ঝিনাইদহের গৃহবধূর বিরল রোগ সারালেন ডাঃ ওয়াজেদ আলী মৃধা
সাহিদুল এনাম পল্লব, ঝিনাইদহের চোখঃ
গত ২৩ শে আগস্ট ২০১৯ বিভিন্ন দৈনিক সহ সামজিক যোগযোগ মাধ্যমে “ঝিনাইদহে এক গৃহবধূ বিরল রোগে ভোগছে, মেহেদি রঙ্গের মত ঘাম বের হচ্ছে তার দুই পায়ের পাতা দিয়ে” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশের পর ডাঃ ওয়াজেদ আলী মৃধার দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং সে ঐ সংবাদদের সাংবাদিকের সাথে যোগাযোগা করে তার মাধ্যমে ঐ রুগীকে তার চেম্বারে ডেকে পাঠায়। রুগী সহ তার আত্মীয় স্বজনদের বলে যে অর্নিতা আক্তার লিজা ভারতে নেওয়া আগে আমি একটু চেষ্টা করে দেখি। তখন থেকে সে বিনা খরচে লিজার চিকিৎসা শুরু করে। তার চিকিৎসায় ধিরে ধিরে লিজা সুস্থ্য হতে থাকে। এখন লিজা সম্পূর্ণ সুস্থ্য। গত শুক্রবার লিজাকে দেখা যায় ঝিনাইদহ ফিরোজ ড্য়াাগোনস্টিক সেন্টারে ডাঃ ওয়াজেদ আলী মৃধার চেম্বারে। সেখানে বসে লিজা জানায় যে সে এখন সুস্থ্য।
ডাঃ ওয়াজেদ আলী মৃধা জানায় যে অর্নিতা আক্তার লিজার “সিউডোক্রোস হাইড্রোসিস নামের একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। এই রোগটি সচর আচার খুব কম দেখা যায়।
উল্লেখ্য তখন লিজা সাংবাদিকদের জানায় যে দীর্ঘদিন ধরে তার দু’পায়ের পাতা অতিরিক্ত ঘামতো তবে সেটা স্বাভাবিক ঘামের রং ছিলো কিন্তু গত একমাস পূর্ব থেকে সেই ঘামের রং মেহেদী রং ধারন করেছে এবং ঘামের মাত্রাও অস্বাভাবিক পরিমান ধারন করেছে। এই অস্বাভাবিক রং এর ঘাম দেখে সে এবং তার পরিবার আতংকিত হয়ে প্রথমে সে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের বক্ষব্যাধি মেডিসিন ও এ্যাজমা রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মোঃ জাকির হোসেন এর নিকট যায় সে সঠিক রোগ নির্নয় করতে না পেরে “রেনোড ফেলোমেন” নামক রোগ মনে করে কিছু ঔষধ খেতে পরামর্শ দেয় তাতে কোন উপকার হয় না। তারপর তারা মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ শেখ আব্দুল ফাত্তাহ এর নিকট চিকিৎস্যা গ্রহণ করে। তিনি সঠিক রোগ নির্নয় না করতে পেরে অনুমান নির্ভর করে কিছু ঔষধ দেন কিন্তু তাতেও তেমন কোন উপকার হয়না। তারপর তারা খুলনা মেডিকেল হাসপাতাল এন্ড কলেজ এ ভর্তি হয়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ড বসিয়েও রোগ নির্নয় করতে পারে নাই। তারা বলেন এধরনের কোন রোগ আমাদের জানা নাই। বর্তমানে সে ভারতে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে তাই পাসপোর্ট করার জন্য আবেদন করেছে। পাসপোর্ট পেলে ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করবে এবং ভিসা পেলেই ভারতে যাবে।
অর্নিতা আক্তার লিজা ঝিনাইদহ সদর থানার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ২য় কন্যা। মাত্র ১১ বছর বয়সে ৬ষ্ট শ্রেণিতে পড়াকালীন লিজা’র ঝিনাইদহ সদরের নলডাঙ্গা ইউনিয়নের তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মোঃ গোলাম মোস্তফা এর ছেলে মোঃ রনি হোসেনের সাথে বিবাহ হয়। বর্তমানে তার একটি ৫ বছরের ছেলে সন্তান আছে।