কালীগঞ্জ

টেন্ডার ছাড়াই কালীগঞ্জ বারবাজার কলেজের গাছ কেটে সাবাড়

আরিফ মোল্ল্যা, ঝিনাইদহের চোখঃ

কোন টেন্ডার ছাড়াই ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ৩০ টি মেহগনি গাছ কেটে সাবাড় করেছে একটি প্রভাবশালী মহল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বারবাজার ডিগ্রী কলেজের নিজস্ব জায়গায় রোপন করা গাছ। খবর পেয়ে রোববার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা ঘটনাস্থলে পৌছে গাছ কাটা বন্ধ করে দিয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবি কলেজের কাজের অজুহাতে প্রায়ই ২/৫ টি করে গাছ কেটে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি শিপন মৃধা ও কলেজের অধ্যক্ষ ইয়ামিনুর রহমান নিজেদের পকেট ভারী করে থাকে। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার কেউ তাদের কথায় কর্ণপাত করেন না।

এলাকাবাসী জানান,রবিবার সকালে বারবাজার ডিগ্রী কলেজের জায়গার বেড়ে ওঠা মেহগনি গাছ কেটে সাবাড় করতে দেখে তারা প্রতিবাদ করেন। এক পর্যায়ে তারা প্রশাসনকে জানান। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে পৌছে গাছ কাটা বন্ধ করে দেন। আর কেটে ফেলা গাছগুলো বর্তমানে ওই কলেজ মাঠেই রয়েছে। এ ঘটনায় ওই কলেজের শিক্ষক, শিক্ষাথী, অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ডিগ্রী কলেজের পিয়ন বাবুল আক্তার জানান, কোন টেন্ডার ছাড়াই গাছ কাটা হচ্ছিল। তিনি বলেন গত এক সপ্তাহ আগেও টেন্ডার বাদে গাছ কাটা হয়েছে। আজ আমাকে থাকতে বলেছিল তাই কলেজের মাঠে রয়েছি। কলেজের অধ্যক্ষ বললে আমার কিছু করার থাকে না।

ডিগ্রী কলেজের শিক্ষিকা ফেরদৌস আরা কাছে রেজুলেশন সম্পর্কে জানা হলে তিনি বলেন কলেজে ১২ জন বিশিষ্ট কমিটি আছে কিন্তু আমরা গাছ কাটা সম্পর্কে কেউ কিছু জানিনা। তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের গাছ টেন্ডার ছাড়া কাটা ঠিক হয়নি।

নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক ওই কলেজের ৫-৬ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা বলেন অধ্যক্ষ সাহেব কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই গায়ের জোরে গাছগুলো কেটেছেন। দিনের পর দিন এসব গাছ কেটে ফেলা হলেও দেখার কেউ নেই।

গাছ কাটার বিষয়ে কলেজের সভাপতি শিপন মৃধা বলেন,মেহগনি গাছের ভিতরে যেই সব গাছ শুকিয়ে গিয়েছে সেই সব গাছগুলো কাটা হচ্ছে। টেন্ডারের বিষয় তিনি এড়িয়ে যান।
অধ্যক্ষ ইয়ামিনুর রহমান বলেন, মেহগনি গাছের ভিতরে যেই সব গাছ ছোট ছোট সেই সব গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। অন্য গাছগুলোর বেড়ে উঠার স্বার্থে এটা করা হচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সূবর্ণা রানী সাহা জানান, বারবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদকে জানানো হয়েছে। লিখিত কোন অভিযোগ পেলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button