ঝিনাইদহের অস্থির চালের বাজার নিয়ন্ত্রনে মাঠে জেলা প্রশাসক
কামরুজ্জামান লিটন, ঝিনাইদহের চোখঃ
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বেশ ক’দিন ধরেই হুজুগে বাঙ্গালী ঘরে মজুদ করা ধরেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। সেই তালিকায় চাল, তেল, আটা, পেয়াজ, রসুন ও ডালকে প্রাধান্য দিয়ে অতিরিক্ত পরিমান কিনতে শুরু করে। ঝিনাইদহতেও এই প্রভাবে অস্থির হয়ে ওঠে বাজার।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হুঁসিয়ার করা হয়। ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে নামানো হয় ভ্রাম্যমান টিম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অফিসও বেশ কিছু উপজেলায় অভিযান চালায়। তাতেও কাজ হচ্ছে না। বরং সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অসৎ ব্যবসায়ীরা সুযোগ ধরতে চাল, পেয়াজ, রসুন ও ডালের দাম বাড়িয়ে দেয়।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য শনিবার ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ নিজেই মাঠে নেমেছেন। জেলা প্রশাসনের ১০টি টিম বাজার নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, সবচে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে চাল ও পেয়াজের দাম। প্রতি চালের বস্তায় দেড়’শ থেকে চার’শ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে মোটা চালের বাজার এখন অস্থির। ৩০ টাকার পেয়াজ এখন উচ্চমুল্যে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের আগুনে মানুষ হাসফাস করতে থাকে। প্রশাসনিক কোন পদক্ষেপ ব্যবসায়ীদের মন গলাতে পারছে না। তাদের ভাষ্য চাহিদা বেশি থাকায় সরবরাহ কম।
ঝিনাইদহ কেসি কলেজের পাশে চয়ন খাদ্য ভন্ডারের মালিক দীপক সাহা দুষলেন চাল কল মালিকদের। তিনি জানালেন চালের দাম মুলত তারাই বৃদ্ধি করেছে।
মা এন্টারপ্রাইজের মালিক স্বপন কুমার সাহা বলেন, বেশি বেশি করে চাল কেনার কারণে বাজারে চাপ পড়ছে। এতে মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
রহমান এন্টারপ্রাইজের মালিক মজিবর রহমান জানালেন, আগে যারা এক বস্তা করে চাল কিনতো, তারা এখন ৪/৫ বস্তা করে কিনছে।
চাল ব্যবসায়ীদের ঢালাও অভিযোগ অস্বীকার করে মিল মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, এখন ধানের সংকট রয়েছে। মিলে কোন ধান নেই। নেই বাজারেও। বেশি চাপ পড়ার কারণে বেশি টাকা দিয়ে ধান কিনতে হচ্ছে। এতেই চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন এই মুহুর্তে সরকার উন্মুক্ত বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে পারে। তাহলে বাজার নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে।