শুনুন মশাই–গুলজার হোসেন গরিব
ঝিনাইদহের চোখঃ
ধরুন আপনি বাইরে গেলেন
এটা খেলেন ওটা খেলেন
পান খেয়ে ঠোঁট লাল করলেন
মাঝে মধ্যে হিহি করে
পাঁঠার মতন হেসে দিলেন
ভাবছেন বেশ লাগছে বটে!
কেমন লাগছে বলবো আমি?
আপনি একটা আস্ত গবেট
পান খাচ্ছেন চিঁক ফেলছেন
সিগারেট টেনে ধূঁয়ো ছাড়ছেন
চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন।
আড্ডা হচ্ছে বেশ জমিয়ে
চায়ের দোকান হাট-বাজারে
একে অন্যের পাশাপাশি
গা ঘেঁষে আর কাছাকাছি।
হাত ধোয়া নেই মুখ ধোয়া নেই
টপ টপ টপ গেলেন সবি।
ঘরের বাইরে কী যে মজা!
হয় কি মজা লকডাউনে?
আইন-মাইন গোল্লায় যাক
বাইরে ছাড়া প্রাণ কি বাঁচে?
ডাক এলো ছাই বাড়ি থেকে
কি আর করা যেতেই হবে
পরিবার আর ঘরের টানে।
এই যে মশাই একটু শুনুন
যাচ্ছেন যান ঘরে ফিরে
নিচ্ছেন না তো আপন করে
এখান থেকে ওখান থেকে
যানবাহন আর মানুষ থেকে
করোনা নামের দানবটাকে?
বাড়ি গিয়ে আদর করবেন
বুকে নিয়ে সন্তানেরে।
স্ত্রীকেও জড়িয়ে ধরবেন
খুব খুশিতে ভালোবেসে।
জানেন মশাই এই আদরে
ভালোবাসায়, যেতেও পারে
আপনিসহ সকলের প্রাণ?
শুনুন মশাই এবার বলি
করোনার নামের ভাইরাস গুলো
আসে না তো ইচ্ছে করে
আপনি যদি দাওয়াত না দেন
ঘরে কি বা দেহের মধ্যে।
ঘরেই থাকুন আইন মেনে
সাবধানে আর সজাগ হয়ে
হাত ধুয়ে নিন খাওয়ার আগে
সুস্থ থাকুন সুস্থ রাখুন
আপনিসহ দেশবাসিকে।