প্রকৃতির মাঝে আমরা একেবারেই তুচ্ছ, বড়ই অসহায়–আবির শামীম
ঝিনাইদহের চোখঃ
জহির রায়হান স্যারের হাজার বছর ধরে উপন্যাসটি যখন পড়েছিলাম,
তখন মহামারী চিত্র সম্পর্কে একটা ধারণা আসলো মনে।মৃত্যুর পর মৃত্যু, লাশের পর লাশ,কবরের পর করব।আর যিনি কবর খুঁড়লেন পরের দিন তার জন্যেও করব খোঁড়া হলো।সেই উপন্যাসটি পড়ার সময় মনের মধ্যে একটা গুমোট ভাব চলে এসেছিলো।
আজ আমি নিজেই এই মহামারীর মাঝে অবস্তান করছি।বিগত কয়েক মাস ধরেই গৃহবন্দী। তারপর থেকে চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ,দিন দিন আরোও বেশি নিয়ন্ত্রণ।শুরুর দিকে বিভিন্ন দেশের আপডেট দেখতাম।আর আতকে উঠতাম ভয়ে অজানা আশস্কায়।এই বুঝি আমার পাশেপাশেই চলে এলো। একসময় সে আশাস্কায় সত্যি হলো।আমার আশেপাশেই শত শত মানুষ আক্রন্ত হচ্ছে।মৃত্য মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন।
বিশেষজ্ঞরা আশংকা করছেন যে মৃত্যুর সংস্যাটা আরো বহু গুণ বাড়বে,লাখে লাখে মরবে মানুষ।কে কখন মরে যাবে কেউ জানে না,কেউ নিজে, কারো আপনজন বা বন্ধু।এখন সবার লক্ষ একটাই কোনভাবে জীবণ বাঁচানো।শত চেষ্টার মাঝেও হয়তো অনেকে এর শিকার হবে।
জানিনা এই মহামারি কতোদিনে শেষ হবে,আমরা কে কে টিকতে পারবো আর টিকে থাকলেও কাকে কাকে হারাতে হবে।এই মহামারী নাকি ১৮ থেকে ২৪ মাসও স্হায়ী হতে পারে।এতোগুলো দিন ঘরবন্ধী থাকতে হবে, ভাবা যায়।তবে একটা ভালো দিক হচ্ছে শুরুতে সব সময় মনের মধ্যে একটা আতঙ্ক কাজ করত আশেপাশে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ার সাথে সাথে তা কেনো জানি গা সাওয়া হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে ঘরে থাকাতেও অবস্তু হয়ে যাচ্ছি।আসলে এটাই হলো মানুষের শরীলের বৈশিষ্ট।সে যে কোন পরিস্থিতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতে শিখে নেয়।
এক উপন্যাসে পড়া মহামারীর চিত্র যদি গুমোট ভাব এনে দিতে পারে যুগ যুগ ধরে,বাস্তবে এর মধ্য দিয়ে যাওয়ার চিত্রটা কিভাবে মানুষ বয়ে বেড়াবে।এখন বুঝতে পারছি, হাজার বছর ধরে উপন্যাসে চিত্রত সেই সময়কার মানুষের অবস্তা,আর আজকের এই বিজ্ঞানের চরম বিকাশের দিনের মানুষের অবস্তা আসলে কোন প্রার্থক্য নেই।আসলে আমরা প্রকৃতির মাঝে একেবারেই তুচ্ছ, বড়ই অসহায়।
আসুন আমরা সবাই সচেতন হই,
সঠিক পথে চলি, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াই।একমাত্র আল্লাহ পারে এই করোনা মহামারী থেকে মুক্তি দিতে।আল্লাহর উপরে ভরষা করুন