করোনা: বাংলাদেশে ‘প্লাজমা থেরাপি’ প্রয়োগের পরিকল্পনা
ঝিনাইদহের চোখঃ
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্তদের ‘প্লাজমা থেরাপি’ প্রয়োগে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশও করোনায় আক্রান্তদের উপর তা প্রয়োগের পরিকল্পনা করছে। একদল চিকিৎসক এই পদ্ধতির ব্যবহার নিয়ে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, মে মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাসের রোগীদের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ‘প্লাজমা থেরাপি’ প্রয়োগ করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমুহ) ডা. আমিনুল হাসান বলেন, পরীক্ষায় সফল হলে তারা রোগীদের উপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করবেন।
তিনি বলেন, আমরা একটি কারিগরি কমিটি করে দিয়েছি। তারা প্রটোকল তৈরি করছে। প্রটোকল তৈরি হলে আমরা কিছু টেস্ট করে দেখব প্লাজমা থেরাপি কতটা কাজ করে। পরীক্ষাটা শুরু করব মে মাসের প্রথম সপ্তাহে। এখানে ভালো ফল পেলে দ্রুতই আমরা রোগীদের মধ্যে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করব।
চিকিৎসকরা বলছেন, কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা এ ভাইরাস মোকাবেলা করে টিকে থাকতে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। এই অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাসকে আক্রমণ করে। সময়ের সাথে সাথে আক্রান্ত ব্যক্তির প্লাজমায় প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। ওই অ্যান্টিবডিই অসুস্থদের সারিয়ে তোলার জন্য ব্যবহার হবে।
গত ৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফডিএ কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলকভাবে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের সুপারিশ করে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ খান জানান, বাংলাদেশে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা যায় কি-না, সে চিন্তা থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একটি প্রতিবেদন পাঠান তিনি।
১২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখায় একটি বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় বিষয়টি নিয়ে কাজ করার।