দেশের ‘দীর্ঘ মানব’ জিন্নাত আলী আর নেই
ঝিনাইদহের চোখঃ
দেশের দীর্ঘ মানব জিন্নাত আলী (২৪) আর নেই। মঙ্গলবার ভোর রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি ব্রেইন টিউমার নিয়ে চমেক হাসপাতালে নিউরো সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাক্তার এস এম নোমান খালেদ চৌধুরী তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জিন্নাতের বড় ভাই ইলিয়াছ আলী তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনিয়ার বড়বিল গ্রামের কৃষক আমীর হামজার ছেলে ৮ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার জিন্নাত আলী ছিলেন দেশের দীর্ঘ মানব।
৩ ভাই এক বোনের মধ্যে স্বাভাবিক ছিল জিন্নাতের গড়ন। তার বয়স যখন ১১ বছর, সে সময় থেকেই তার দ্রুত উচ্চতা বাড়তে থাকে। প্রতিবছর ২ থেকে ৩ ইঞ্চি করে আকৃতি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে তা ৮ ফুট ২ ইঞ্চিতে গিয়ে ঠেকে। জিন্নাতের উচ্চতা নিয়ে বিড়ম্বনায় ভুগতেন তার পরিবার।
২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে এক সন্ধ্যায় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন দীর্ঘ মানব জিন্নাত আলী। জিন্নাতকে সংসদ ভবনে নিয়ে যান কক্সবাজার-৩ (রামু-সদর) আসনের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল। এ সময় অসুস্থ জিন্নাত আলীর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর তাকে নিয়ে হইচই পড়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিন্নাতের চিকিৎসার জন্য দিয়েছিলেন পাঁচ লাখ টাকার অনুদান। এছাড়া তাঁকে দেওয়া হয় একখণ্ড জমি, জমিতে তৈরি একটি পাকা দোকান ও মালামাল কেনার টাকা।
প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের টাকায় জিন্নাত আলীকে সেসময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. আবদুল্লাহ জিন্নাত আলীর চিকিৎসা করেন। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, জিন্নাতের মস্তিষ্কে টিউমার হয়েছে। এ ছাড়া হরমোন সমস্যার কারণে তাঁর উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছিল।