করোনায় ঘরবন্দি ৭১০ কোটি মানুষ
ঝিনাইদহের চোখঃ
করোনাভাইরাসের কারনে ঘরবন্দি হয়ে আছেন পৃথিবীর ৭১০ কোটি মানুষ এমন তথ্য ওঠে এসেছে পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায়। ডন, পিউ রিসার্চ সেন্টার থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
গবেষণায় বলা হয়, বিশ্বের ৭১০ কোটি মানুষ নিজ দেশে বন্দি হয়ে পড়েছেন। করোনা মহামারীর কারণে ওইসব দেশে নাগরিক ও অধিবাসী ব্যতিত অন্য সকল ব্যক্তির প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে বিদেশে থাকা নিজ দেশের নাগরিকদের প্রবেশেও জারি করা হয়েছে বিধি-নিষেধ। ফলে পর্যটক, ব্যবসায়ী, অভিবাসীসহ বিশ্বের ৯১ শতাংশ ব্যক্তি নিজ নিজ স্থানে আটকা পড়ে আছেন।
এদের মধ্যে ৩০০ কোটি অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যার ৩৯ শতাংশ ওই সব দেশে রয়েছেন যাদের সীমান্ত নাগরিক ও অধিবাসী ব্যতিত সকলের জন্য বন্ধ রয়েছে।
১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীন বিজ্ঞানী ও কিছু কূটনৈতিক ব্যতিত সকল বিদেশীর জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। কাছাকাছি জনসংখ্যার দেশ ভারত সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, ভিসা বন্ধ রেখেছে ও বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের দুই সপ্তাহের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করেছে। ৩৩ কোটি জনসংখ্যার দেশ যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক ও অধিবাসী ব্যতিত সকলের জন্য সীমান্ত বন্ধ রেখেছে। করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত চীন, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন, ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
জাপান ২০২১ সাল পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক স্থগিত করেছে। পর্যটকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে ও নাগরিকদের করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা সকলকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। এদিকে কিছু ইকুয়েডরসহ কিছু মধ্য এশিয় দেশ নিজ দেশের নাগরিক ও অধিবাসীসহ সকলের জন্যই সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের কিছু দেশ সাময়িকভাবে অভিবাসন প্রদানের কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
পিউ রিসার্চ সেন্টার বলেছে, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি ও বাণিজ্যিক ফ্লাইট সীমিত হওয়ার কারণে নিজ দেশে ফেরা কঠিন হবে ২৭ কোটি ২০ লাখ আন্তর্জাতিক অভিবাসীর। এইসব ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় মারাত্মক ক্ষতির কবলে পড়েছে বিশ্বের এয়ারলাইন্সগুলো।
বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত ৩১ লাখেরও বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গিয়েছেন প্রায় ২ লাখ ১৭ হাজার। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ২৯ হাজার। করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গিয়েছেন ৫৮ হাজার।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসলেও বিশ্বের অনেক দেশ লকডাউন শিথিল করেছে। এর মধ্যে রয়েছে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল, ফ্রান্স, জার্মানি গ্রীস ও কয়েকটি ইউরোপিয় দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্যও অর্থনৈতিক কার্যক্রম খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।