অন্যান্য

করোনায় মৃত ডাক্তার, সাংবাদিক ও পুলিশের পরিবারের পাশে এমপি একরাম

ঝিনাইদহের চোখঃ

করোনায় মৃত্যুবরণকারী চিকিৎসক মঈন উদ্দিনের পরিবারের জন্য দুই লাখ, দৈনিক সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবির খোকন এবং পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের পরিবারের জন্য পৃথকভাবে পঞ্চাশ হাজার টাকার চেক প্রদান করেছেন নোয়াখালী-৪ (সদর ও সূবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।

এছাড়া করোনা শনাক্ত করতে ল্যাব স্থাপনে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (নোবিপ্রবি) পাঁচ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এ চেক হস্তান্তর করেন।

নোবিপ্রবির ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জামিউদ্দিন আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ল্যাব স্থাপনের অনুদান গ্রহণ করেন। এসময় সাংবাদিক হুমায়ুন কবির খোকনের পরিবারের পক্ষে দৈনিক সময়ের আলোর জেলা প্রতিনিধি মাহবুব রহমান বাবু, চিকিৎসক মঈন উদ্দিনের পরিবারের পক্ষে স্বাচিপের জেলা সভাপতি ডা. ফজলে এলাহী খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহবুবুর রহমান ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের পরিবারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিসা চেক গ্রহণ করেন।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস, সিভিল সার্জন ডা. মোমিনুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খিসা, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহানসহ জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা।

এসময় একরামুল করিম চৌধুরী দুর্যোগ সময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আমার নোয়াখালীতে অনেক বিত্তবান মানুষ রয়েছেন। কিন্তু এই দূর্যোগে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। আমি অনুরোধ করবো মানুষের এই বিপদে পাশে থাকেন। এই সম্পদ আপনার কাজে আসবে না। মনে রাখবেন আমাদের সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে।

হতদরিদ্র মানুষের বাসায় খাবার পৌঁছে দেওয়া অব্যাহত রাখায় স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও দলীয় কর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ মেনে চলার জন্য মানুষদের আহ্বান জানান।

এর আগে নোয়াখালীর হতদরিদ্র মানুষের জন্য ‘একরাম চৌধুরী ফাউন্ডেশন’ গঠন করেন এমপি একরাম। সেখানে ৫০ লাখ টাকা অনুদানও দেন তিনি। এছাড়া সরকারের পাশাপাশি নিজের অর্থায়নে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াখালী জেলার ৬০-৭০ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিতরণ করেন তিনি।

জানা গেছে, নিজ এলাকার মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হন তার জন্য ১৫ রোজার পর বড় একটি অনুদান দিবেন একরামুল করিম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button