এলো বাহারী রসালো ফলের মাস
এম এ কবীর, ঝিনাইদহের চোখঃ
আজ পহেলা জ্যৈষ্ঠ। গ্রীষ্মের দ্বিতীয় মাস এটি। মিষ্টি ফলের রসে ভরা মাস হিসেবে জ্যৈষ্ঠ আলাদা বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। এজন্য এটি আমাদের অত্যন্ত প্রিয় মাস।
প্রডন্ড খরতাপে এ মাসে প্রকৃতিতে থাকে নাভিশ্বাস অবস্থা। তার পরও ফলের সমাহার নিয়ে জ্যৈষ্ঠের আছে বাহারি রূপ, রস ও গন্ধ। এ সময়ে আম, জাম, লিচু, কাঁঠালসহ প্রায় সব ধরনের মৌসুমি ফল পাকতে শুরু করে। বাতাসে থাকে মিষ্টি ফলের মৌ-মৌ গন্ধ।
মধুর রসে ভরা এই সময়। ফলে বাঙালির রয়েছে বিশেষ দুর্বলতা। এই সময়ের জন্য অপেক্ষায় থাকে আমরা।
সেই জ্যৈষ্ঠ এলো এই করোনাকালে। এ মাসে পাওয়া যাবে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, জামরুল, আনারস, লটকন, বাঙ্গি, তরমুজ, ডেউয়া, বেল, বেতফল, গাব, আতাফল, কাউ, শরীফা ইত্যাদি কতো না ফল। অন্য কোন মাসে এত ফলের আধিক্য নজরে পড়ে না।
শহুর জীবনে এখন সব ফলের দেখা পাওয়া যায়না। শহর কেন, গ্রাম থেকেও এখন হারিয়ে যাচ্ছে জ্যৈষ্ঠের অনেক রসালো ফল। অনেক ফল তো বর্তমান প্রজন্ম চিনতেই পারে না।
এবার মাসটি এসেছে ভিন্ন মাত্রা নিয়ে। মহামারি করোনাভাইরাসের আতঙ্ক চারিদিকে। যার প্রভাব পড়েছে আম বাগানেও। তবুও নানা ফল মিলছে বাজারে।
এরই মধ্যে বাজারে আম, লিচু, তরমুজ, বাঙ্গি এসব উঠতে শুরু করলেও তা যথার্থ রূপে নয়। এ মাসেই বাজারে ঢল নামবে সব ফলের। এখনো গাছেই দুলছে ফল। বাগানে ছড়াচ্ছে ঘ্রাণ।
তাপমাত্রাও তেজ দেখাচ্ছে। মানুষ পশু পাখি হাঁসফাঁস করছে। খরতাপের সঙ্গে ঝড়বৃষ্টিও নতুন এক দুর্যোগ হিসেবে দেখা দিয়েছে। অবশ্য প্রকৃতি আর আগের মতো নেই। এখন সেই চিরায়ত ছন্দে আবর্তিত হচ্ছে না ।