ঝিনাইদহে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম
ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে একই উপজেলার অন্যহাটে মণপ্রতি দাম কমেছে দেড়’শ থেকে ২ শ’ টাকা।লকডাউন শিথিল হওয়ায় আমদানি বৃদ্ধি ও ভারত থেকে পেঁয়াজ আসার ঘোষণায় দাম কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।কৃষক বাঁচাতে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি না করার পরামর্শ কৃষক নেতা ও সচেতন মহলের।
মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত বিদেশ থেকে আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার পরামর্শ সচেতন মহলের।
শৈলকুপা উপজেলার লক্ষণদিয়া গ্রামের প্রান্তিক চাষি শুকুর আলী মোল্যা জানান, গত কয়েক বছর পেঁয়াজ আবাদে লোকসান হলেও এবার প্রথম কিছুটা লাভের মুখ দেখেছেন তিনি।করোনার কারণে মাঠ থেকে পেঁয়াজ ওঠানো আর বিপণনে সমস্যা হলেও দাম ভালো পেয়েছিলেন।লকডাউন শিথিল হওয়া আর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির ঘোষণায় হঠাৎ করেই কমে যায় পেঁয়াজের দাম। লাভের স্বপ্ন দেখে এখন লোকসানের আশঙ্কায় দিন কাটছে তার।
শুকুর আলীর মতো অন্য কৃষকরা জানান, গত দেড় মাস ধরে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় এবার ন্যায্য দাম পেয়েছে তারা। এপ্রিলের শুরু থেকে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত যা দাম পেয়েছে তাতে খুশি কৃষক। এখন ভারত থেকে এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করা হলে প্রতি বছরের মতো এবারও কপাল পুড়বে কৃষকের।বিগত কিছুদিন ধরে পেয়াঁজের দাম নিম্নমুখী হয়ে অসছে। বর্তমান সময় অধিক সংখ্যক কৃষক একবারে বাজারে আসছে। এ কারণে পেয়াঁজের দাম আরো কমছে। সরকার দেশের বাইরে থেকে যদি পেয়াঁজ আমদানি করে তাহলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
গতবার দেশে পেয়াঁজের সংকট দেখা দিয়েছিল। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে পেঁয়াজ আমদানি না করার জন সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস জানান, এ বছর কৃষকরা ভালো দাম পাওয়াই তারা আগামীতে পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হবে বলে আমরা মনে করি। আমদানির ফলে যদি দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। সে ক্ষেত্রে আমদানিতে পেঁয়াজের উৎপাদন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে।
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, এ বছর জেলার ৬ উপজেলায় ৮ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। আর পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৬ মেট্রিক টন।