হে মানবতা! তবুও তোমাই স্যালুট—মিঠুন কুমার কর্মকার
ঝিনাইদহের চোখঃ
গহীন অরণ্যে কালো মেঘে ঢাকা নিরবতার একচ্ছত্র অনুভূতির শিউহরে উঠা প্রতিধ্বনির মুহুর্মুহুর নিশ্চতব্দতার আওয়াজের অমসৃণ দাবানলের উষ্ণতায় ভরে উঠা জরাজীর্ণ বস্তের লেলিহান হাহাকারের অবিবেচিত মলিন নয়নাভিরাম অশ্রæ সিক্ত ছল ছল দৃষ্টির বাকহীন চাতকের ন্যায় তৃষ্ণনার্থ ক্ষুধার্থ অসহায় মানবকে একটু ধরণীর প্রশান্তির তরে নিশ্বাস নেওয়ার ব্যাকুলতার চিত্তকর্ষণ করাকে যদি মানবতা বোধ বলা হয়!
তাহলে বোধ ……. মানবতা কোথায়? কোথায় হে বিবেক?
যখন শুনতে পাওয়া যায় ক্ষুধায় জর্জরিত হাহাকার ছোট্ট শিশুর আত্মচিৎকার। যখন শোনা যায় বিধবা মায়ের সন্তানহারা দুঃখীর বুকফাটা পাষাণের নিরবতা। যখন শোনা যায় অসহায় মানুষের উপার্জিত একমাত্র অবলম্বন থমকে যাওয়া দিনগুলো অনাহারে কাটানো।
যখন শোনা যায় কাঁদা মাটির ছোঁয়ায় লৌহদন্ডমান লৌহ মানব শ্রমিকের ভাগ্যের চাকা নিশপেহিত। যখন শোনা যায় কৃষকের হাড় ভাঙ্গা খাটুনির পরিশ্রম পদমর্দন। যখন শোনা যায় আবার রক্তাক্ত হাতে রঞ্জিত কালো মুখোশের আড়ালে থাকা ভয়াল রুপি হুংকারের থাবা।
তখন নিজেকে ধিক্কার জানাই মানুষ রুপি মানব হয়ে জন্ম লাভে!
তবে মানুষ মানুষের তরে। মানব জীবন ধন্য হয় সেই সকল ক্লান্তহীন অবিরাম ,পুজনীয় মানুষগুলোকে দেখে যিনারা দেশের ক্রান্তীলগ্নে নিজের জীবন বাজি রেখে সকল মায়া ত্যাগ করে ছুটে চলেছে মানব সেবায়, মানবতার তরে।
হুম, এটাই মানবতা; যা সকল অন্ধকার দূরীভূত করে একদিন আলোকিত করবে এই ধরণীকে। ভরিয়ে তুলবে হাসি, আনন্দ আর প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্যে। পরিশেষে মনের চাওয়া পাওয়ার মলিনতা থাকলেও হে মানবতা; তবুও তোমাই স্যালুট জানাই।