ঝিনাইদহে আইনজীবীর বাড়িতে হামলা, স্বজনদের মারপিট, মোবাইল ছিনতাই
কামরুজ্জামান লিটন, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চাপড়ী গ্রামে সিমিয়র আইনজীবীর বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে দূর্বৃত্তরা। তাছাড়া ওই আইনজীবির ভাই ভাতিজা ও ভাবীকে পিটিয়ে আহত করেছে তারা। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী আইনজীবী ঝিনাইদহ থানায় অভিযোগ দিলে দূর্বৃত্তরা থানায় এসে আপোষের কথা বলে আবারো আইনজীবী পরিবারের পরিবারের প্রতি খুন- জখমের হুমকি অব্যহত রেখেছে। এতে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে আইনজীবী পরিবারটি। এমন অভিযোগ করেছেন ঝিনাইদহ বারের সিনিয়র আইনজীবী মীর আক্কাছ আলী। ও তার ছোট ভাই জুনিয়র আইনজীবী ( শিক্ষানুবেশ) মীর আকরাম হোসেন। মীর আকরাম বলেন আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। আরো বলেন আইনজীবীর উপরে হামলা হচ্ছে কোন বিচার হচ্ছে না। এই সব সন্ত্রীরা শক্তি কোথা থেকে পাচ্ছে।
অভিযোগে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন যাবত একই গ্রামের মীর মুক্তাদ হোসেন, দাউদ হোসেন, তৌফিক ও বাসুদেব পুর গ্রামের রবিন সহ ১৪/১৫ জন দূর্বৃত্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নানা ধরনের ক্ষতি করে আসছে।
এর জের ধরে গত ৩০ মে সকাল অনুমান ১১ টার সময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে রামদা, ডাঁসা, হাতুড়ি সহ দেশীয় ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ীতে অনধিকারে প্রবেশ করে আইনজীবীর বড়ভাই আনোয়ার হোসেনকে গালিগালাজ করতে থাকে। দূর্বৃত্তদের গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে দূর্বৃত্ত মুক্তাদ হোসেনের হুকুমে অনান্য দূর্বৃত্তরা আনোয়ার হোসেনকে মারপিট শুরু করে। এ সময় তার শোর চিতকারে স্ত্রী রিনা পারভীন ও ছেলে রাব্বি ঠেকাতে আসলে দূর্বৃত্তরা তাদেরকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে ফোলা বেদনাযুক্ত জখম করে।
তাছাড়া ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রিনা পারভীনকে জখম করে। দূর্বৃত্তরা ভিকটিম রাব্বীর হাতে থাকা ১২ হাজার টাকা মূল্যের একটি টাচ মোবাইল ছিনতাই করে এবং বাড়ীঘর ভাংচুর করে দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করে। আইনজীবী মীর আক্কাছ আলী বলেন, এর আগেও এমন অপরাধে দূর্বৃত্ত দাউদ ও তৌফিকের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে ঝিনাইদহ থানায় ২১৭ নম্বর জিডি করেছিলেন। ওই জিডির বুনিয়াদে র্যাব -৬ এর কর্মকর্তা বিবাদীদের ডেকে এজাতীয় কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়।
এই ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আইনজীবী মীর আক্কাছ আলী একটি অভিযোগ থানায় দিয়েছেন। অভিযোগে অধর্তব্য অপরাধের অভিযোগ সত্য মনে হয়েছে।
তবে উভয় পক্ষই আপোষ করে নিয়েছে বলে থানায় এসে বলে গিয়েছে। তাই থানা পুলিশ কোন এ্যাকশানে যায়নি। তবে ওই আইনজীবী সাহেব যদি পূনরায় অভিযোগ করেন, তাহলে পুলিশ অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে আইনজীবী মীর আক্কাছ আলী অভিযোগ করেছেন, বিবাদীরা তাদের ব্যাবহৃত রামদা ও অস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার শর্তে আপোষের কথা বললেও তারা অস্ত্র জমা না দিয়ে তার পরিবারের প্রতি ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এব্যাপারে তিনি নিরাপত্তার জন্য পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।