ভেতরে ভেতরে আমাদের ক্ষতটা কত জানতোনা বাইরের কেউ–এম এ কবীর (সাংবাদিক )
ঝিনাইদহের চোখঃ
এক.
ভেতরে ভেতরে আমাদের কী অবস্থা। জানতোনা বাইরের কেউ। আমরা নিশ্চয়ই জানতাম। কেউ জানতেন অবচেতন মনে। প্রকাশ করতেন না। প্রকাশের সময় এখন। আমরা প্রকাশ করছি। ঘোষণা করছি। পৃথিবীতে কেউ কারো নয়।
মুনীর চৌধুরী লিখেছেন —
‘মানুষ মরে গেলে পঁচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।’
জীবনে নানারকম মানসিক সমস্যা লেগেই থাকে। বলা হয় শারীরিক সমস্যার থেকেও মানসিক সমস্যা মানব জীবনে বেশী প্রভাব ফেলে। শরীরের কষ্ট ওষুধ খেলে সেরে যায়। মনের কষ্ট থেকেই যায়।
দুই.
মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভ‚তি কি
মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু।।
সত্যি তিনি সময়কে ছুঁয়ে দিয়েছেন। ‘শরৎ বাবু’ শীর্ষক গানের মধ্যদিয়ে। তিনি গেয়েছেন- খোলা চিঠি দিলাম তোমার কাছে/ তোমার গফুর মহেষ এখন/ কোথায় কেমন আছে তুমি জানো না/ হারিয়ে গেছে কোথায় কখন তোমার আমিনা/শরৎ বাবু এ চিঠি পাবে কিনা জানি না আমি/…
ভ‚পেন হাজারিকার চিঠি শরৎ বাবু না পেলেও পেয়েছে লক্ষ- কোটি বাঙালি। যাদের মনের ঘরে বৈষম্য আর বিরোধের বিপরিতের রথযাত্রা উঠে এসেছিল। সচেতনতার সুরে সুরে, যুদ্ধাঙ্গনে,সমাধানে উচ্চারিত হয়েছে এই গান। কৈশোরকাল থেকেই গান লেখা, সুর দেয়া একই সঙ্গে গাইতে শুরু করেন। তাঁর কণ্ঠ ছিল যেমন দরাজ, তেমনি মানুষের প্রতি ছিল গভীর দরদ।
সমাজ, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ নিয়ে লেখা গানগুলো তাঁকে গীতিকার হিসেবে বেশি জনপ্রিয় করে। আমজনতার কথা তুলে ধরায় তাঁর গানে জনগণ বারবার নিজেদের খুঁজে পেত।
হিন্দু ধর্মের পবিত্র নদী গঙ্গার কাছে তিনি প্রশ্ন রেখেছিলেন, দুই পাড়ের অসংখ্য নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের নিষ্ফল-নিষ্করুণ জীবনযাত্রা দেখেও কেন তার প্রতিক্রিয়া হয় না, কেন সে শুধুই বয়ে চলে?’ এই যান্ত্রিক যুগে সহানুভ‚তি হারিয়ে প্রায় যন্ত্র হয়ে ওঠা মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য/ একটু সহানুভ‚তি কি মানুষ পেতে পারে না’। এই মানবিকতাবোধ তাঁকে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যায়। পরিচিতি আনে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে।
বাংলা, হিন্দি, অসমিয়া ভাষায় তাঁর এসব গান শ্রোতাদের হৃদয় স্পর্শ করে। পায় আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। তিনি ভারতের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায়ও গান গেয়েছেন।
বিবিসি বাংলার জরিপে সর্বকালের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাংলা গানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে, ‘মানুষ মানুষের জন্য’ গানটি। ভ‚পেনহাজারিকার গাওয়া অজ¯্র বাংলা গানের মধ্যে ‘দোলা হে দোলা’, ‘সাগর সঙ্গমে’, ‘গঙ্গা আমার মা’, ‘একটি কুড়ি দুটি পাতা’, ‘এ শহর প্রান্তরে’, ‘আমায় ভুল বুঝিস না’, ‘মোর গাঁয়ের সীমানায়’, ‘মেঘ থমথম করে’সহ অসংখ্য গান মানুষের কণ্ঠে গুঞ্জরিত হয়।
প্রতিভা ছিল বহুমাত্রিক। তাঁর গণসংগীত মানুষের মনে উদ্দীপনা জুগিয়েছে ঠিক এভাবে- দোলা হে দোলা হে দোলা/ হে দোলা আঁকা-বাঁকা পথে মোরা/ কাঁধে নিয়ে ছুটে যাই/ রাজা মহারাজাদের দোলা/
মানবতায় দোলা দেয়া এই গানের মত করেই মানুষ মানুষের জন্য উচ্চারণ করেছিলেন মানবতাবাদি চির অ¤øাণ ভ‚পেন হাজারিকা।
তাঁকে বক্ষ সংক্রমণের জন্য কোকিলাবেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। লিভার দু’টিও অকেজো হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তিনি বিদায় জানালেন। প্রিয় সংগীত জগৎকে। আগামী গড়ার অনন্য মানুষের এই চলে যাওয়ায় আমরা বেদনাশিক্ত।
সেই বেদনাশিক্ত কন্ঠেই তাঁর এই গানটি থাকলো শ্রদ্ধাঞ্জলী হিসেবে- মানুষ মানুষের জন্য/ জীবন জীবনের জন্য
তিনি কবি ছিলেন । ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা। সাংবাদিক।
যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ বিষয়ে পিএইচডি করেন। অভিনয় করেন ‘একপাল’ নামে একটি মাত্র চলচ্চিত্রে।
এ ছবিতে তাঁর অভিনয় চলচ্চিত্রবোদ্ধার হৃদয় ছুঁয়ে যায়। অসমিয়া ভাষার চলচ্চিত্র ‘এরা বাতার সুর’ (১৯৫৬) দিয়ে চলচ্চিত্রকার হিসেবে অভিষেক।
তিনি ১৪ টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। অসমিয়া ভাষায় শকুন্তলা (১৯৬০), প্রতিধ্বনি (১৯৬৪) ও লটিঘটি (১৯৬৭) একই সঙ্গে প্রযোজক, পরিচালক, গীতিকার, সুরকার, সংগীতশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন।
জীবন তৃষ্ণা, জোনাকির আলো,চামেলী মেমসাহেব, সীমানা পেরিয়ে সহ বিভিন্ন বাংলা চলচ্চিত্রের গীতিকার, সুরকার ও গায়ক ছিলেন তিনি।
১৯৭৫ সালে চামেলী মেমসাহেব চলচ্চিত্রে সুরকার ও শিল্পী হিসেবে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
তিন.
কবি-
কামিনী রায়- ‘সকলের তরে সকলে আমরা’ কবিতায় লিখেছেন—
“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি/এ জীবন মন সকলি দাও,/তার মত সুখ কোথাও কি আছে?/আপনার কথা ভুলিয়া যাও।/পরের কারণে মরণেও সুখ,/‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;/যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,/ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।/আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে/আসে নাই কেহ অবনী পরে/সকলের তরে সকলে আমরা/প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।
চার.
মনুষ্যত্বের আড়ালে আমাদের ভেতরে যে অমানবিকতার ডালপালা ছড়িয়ে আছে তা বুঝতে পারতাম না।
গত একমাসে বাংলাদেশের প্রথম সারির পত্রিকাগুলোর নির্দিষ্ট কিছু রিপোর্ট ফলো করছিলাম। পর্যবেক্ষণ করছিলাম। বলতে পারেন ফলো করতে বাধ্য হচ্ছিলাম। দেখতে চাইছিলাম আমরা কী দাবি করি । কী করছি। মানুষ হিসেবে আমরা যে দাবি করে আসছিলাম তা কতটুকু ঠিক। বাস্তব।
দেখতে চাইছিলাম আমরা কতটুকু নিচে নামতে পারি।
পর্যবেক্ষণ আপাতত শেষ। মনুষ্যত্বের আড়ালে ভেতরের অন্ধকার দিকের পর্যবেক্ষণ। প্রকাশ পেয়েছে ভয়াবহ ভাবে । প্রমাণ হয়েছে,আমরা যা দাবি করতাম তা ছিল শুধু ফাঁকা বুলি । যা বলি তা নই।
বেঁচে থাকার জন্য কিছু করতে হয়। বলতে হয়। আমরা তাই বলছিলাম। করছিলাম। ভেতর ছিল অন্তঃসারশূন্য। ধু- ধু মরুভ‚মি। মনুষ্যত্বের কাতার থেকে অনেক পেছনে পড়েছিলাম। আমরা সেই প্রমাণ দিয়েছি।
অন্ধকারের কোন দিকটি আমরা উন্মোচোন করিনি?
পাঁচ.
জন্মগত। আরোপিত। সম্পর্ক দুটি যে মাঝে মধ্যে খুব ঠুনকো হয়ে যায় তার প্রমাণ আমরা দিয়েছি।
জন্মগত সম্পর্ক বলতে মা-বাবা, ভাই-বোন ছেলে-মেয়ের সম্পর্কের কথা বলছি। আরোপিত বা অর্জিত সম্পর্ক বলতে – স্বামী-স্ত্রীর, শশুর শাশুড়ির সম্পর্কের কথা বলছি।
ছয়.
প্রথম ঘটনা শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ থেকে। একজন পরিচিত গিটারিস্ট করোনার উপসর্গ নিয়ে কয়েক হাসপাতাল ঘুরে কোথাও ভর্তি হতে পারলেননা। ফিরলেন বাসায়। রাতেই তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান। জন্মগত এবং আরোপিত সম্পর্কের আত্মীয়-স্বজনরা তার সেই লাশ বাসা থেকে বের করে রাস্তায় ফেলে রাখেন।
নিমিষেই আমাদের সম্পর্ক ঠুনকো হয়ে গেল! প্রিয় স্বামী। প্রিয় ভাই। প্রিয় সন্তানকে বাসায় না রেখে আমরা রাস্তায় ফেলে রাখলাম! অবশ্য তাঁর কপাল ভালো ‘লাশ’ রাস্তায় ফেলে রাখা হলো। জীবিত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রাখা হয়নি।
এ ভুল ভাঙতে সময় যায়নি। পরের সংবাদে দেখলাম করোনা উপসর্গ সন্দেহে আপন সন্তানেরা তার জীবিত মাকে জঙ্গলে ফেলে এসেছে।
কত নিচে নেমে গেলাম। কতো অন্ধকারে হারিয়ে গেলাম। জন্মদাত্রী মাকে জ্বর আর কাঁশি থাকার কারণে জীবিত অবস্থায় জঙ্গলে ফেলে আসলাম যারা। আমরা কি মানুষ ? একটু খেয়াল করে দেখুন। আপনার সন্তান যদি আপনাকে এভাবে জঙ্গলে ফেলে আসে। আপনার অনুভ‚তি কেমন হবে ? মানবতার কি ভয়াবহ পরিণতি! জন্মগত সম্পর্কের কি নির্মম ট্রাজেডি!
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হবার পর স্বামী মারা গেছেন। লাশ ফেলে প্রিয় স্ত্রী এবং বাদবাকি আত্মীয়-স্বজন পালিয়ে গেছেন। আরোপিত সম্পর্কের কি ভয়াবহ পরিণতি!
ফেনীর সোনাগাজীতে ৫৫ বছর বয়সে শাহাব উদ্দিন সাহেবের কপালটা আরো খারাপ। জ্বর কাশি, শ্বাসকষ্ট ওঠায় ঘরের ভেতর তালাবদ্ধ রেখে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, জামাতা মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেন। তালাবদ্ধ ঘরে তিনি কি নির্মম ভাবে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একটু খাবার পানি চেয়েছিলে। কেউ এগিয়ে আসেনি। আহারে জীবন!
টঙ্গীতে দুই শিক্ষকের মৃত্যু। পাঁচ তলায় লাশ পড়ে আছে। কেউ নামাতে এগিয়ে আসছে না। আহারে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা!
মারা যাওয়া গার্মেন্টস শ্রমিকের লাশ আত্মীয়-স্বজন, গ্রামবাসী তিস্তায় ভাসিয়ে দিয়েছে। পরে পরীক্ষা করে জানা গেল তার করোনা ছিল না। ততক্ষণে অবশ্য অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমরা পশুত্বের প্রমাণ দিয়ে দিয়েছি!
হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন–
‘সারা জীবন পাশাপাশি থেকেও এক সময় একজন অন্যজনকে চিনতে পারে না। আবার এমনও হয়, এক পলকের দেখায় একে অন্যকে চিনে ফেলে’
তিনি আরো লিখেছেন –
‘মানুষকে ঘৃণা করার অপরাধে কাউকে কখনও মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়নি, অথচ মানুষকে ভালোবাসার অপরাধে অতীতে অনেককেই হত্যা করা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হয়তো হবে’
অসুস্থ্য মাকে রাস্তায় ফেলে দিল প্রবাসী দুই ছেলের স্ত্রী। আরোপিত সম্পর্কের ভয়াবহ পরিণতি। নিজের সন্তানরা যেখানে মাকে জঙ্গলে ফেলে আসে সেখানে সন্তানের স্ত্রীরা এমনটা করলে নিশ্চয়ই খুব অবাক হবেন না!
সন্দেহে থাকা মৃত ব্যক্তির কবর খুঁড়তে রাজি হননি এলাকার মানুষ। কবর খুঁড়তে গেলে তো আপনার করোনা হবে না। আপনি কেন এমন নির্মম হলেন ? আপনার বুঝি করোনা হতে পারে না?
কারাগারে থাকা রোগীর মৃত্যু হলে আত্মীয়-স্বজন গ্রহণ করেনি। হায়রে সম্পর্ক!
আমাদের চারপাশে গত কয়েক সপ্তাহে ঘটে যাওয়া জন্মগত এবং আরোপিত সম্পর্কের কিছু নির্মম-ভয়াবহ উদাহরণ।
সাত.
আমরা কোথায় গেলাম? কোথায় যাবার কথা ছিল? মনুষ্যত্ব এতো নিচে নামল কীভাবে? প্রশ্নগুলো কয়েক দিন থেকে থেকে মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। জবাব পাচ্ছিলাম না।
রুদ্র গোস্বামী লিখেছেন —
‘দুঃখ মানুষের জীবনের একটি ব্যক্তিগত গান, যা মানুষ নিজে ছাড়া অন্য কেউ শোনে না’
মনুষ্যত্ব আর মানবিকতাকে জাগ্রত করার যে অবলম্বনকে আমরা এতোদিন উৎসাহিত করেছি তা কোন অবলম্বন নয়।
মাদার তেঁরেসা বলেছেন —
‘যদি তুমি মানুষকে বিচার করতে যাও তাহলে ভালবাসার সময় পাবে না’
আট.
বারবার একটি কথাই ঘুরে ফিরে আসে। ব্যক্তিগত। পারিবারিক। সামাজিক জীবনে আমাদের যে সম্পর্ক তা খুবই ঠুনকো। বালির বাঁধের মতো। নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। মুহূর্তেই অন্ধকার নেমে আসে।
বিল গেটস্-এর বিখ্যাত উক্তি:
‘যখন তোমার পকেট ভর্তি টাকা থাকবে তখন তুমি ভুলে যাবে তুমিকে। কিন্তু যখনি তোমার পকেট ফাঁকা হয়ে যাবে তখন দুনিয়া ভুলে যাবে তুমি কে।’
চোখ বুজলেই টের পাবেন। যাদের জন্য জীবন যৌবন খরচ করেছেন। তারা আপনার কেউ নয়। তারা ছিল আপনাকে ঘিরে বেঁচে থাকার অবলম্বন।
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেছেন —
দুটি জিনিস অসীম : মহাবিশ্ব এবং মানুষের অজ্ঞতা ; এবং আমি মহাবিশ্ব সম্পর্কে নিশ্চিত নই
নয়.
আপনি এখন নেই। আপনার প্রয়োজন নেই। আপনি এখন কবরের বাসিন্দা। কবরে যাবার আগেই আপনার জীবনকে গোরস্থান করে ফেলেছে আপনার প্রিয় আত্মীয়-স্বজন।
তাদের জন্য ছুটছেন ? কোথায় ছুটছেন ? কাদের জন্য আপনি ছুটে চলছেন ? কাদের জন্য আপনি মানুষকে কষ্ট দিয়ে পরিবারকে খুশি রাখার চেষ্টা করছেন?
আমাদের জাতীয় কবি- কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন —
আমরা সবাই পাপী ; আপন পাপের বাটখারা দিয়ে ; অন্যের পাপ মাপি !!
একবার নিজেকে প্রশ্ন করুন। হঠাৎ করোনা আপনাকে স্পর্শ করলো। আপনার পরিণতি কী হবে? একটু ভাবুন। সময় না থাকলে কিছু সময় নিয়ে চিন্তা করুন। পৃথিবীতে কেউ কারো নয়।
জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন–
‘ যখন একা থাকার অভ্যাস হয়ে যায়, ঠিক তখনি সৃষ্টিকর্তা কিছু মানুষের সন্ধান দেন। যখন তাদেরকে নিয়ে ভালো থাকার অভ্যাস হয়ে যায়, ঠিক তখনি আবার একা হয়ে যেতে হয়।’
দশ.
কেন মানুষের এমন আচরনিক পরিবর্তন? বিদ্যমান সমাজ ব্যবস্থায় ত্রæটিগুলো কী ? সমাধান কোন পথে? দরকার যথেষ্ট গবেষনার । না হলে টিকবেনা চিরাচরিত আচার-অনুষ্ঠান। সংক্রমনটা ব্যধির না বোধের। ভাবতে হবে নতুন করে।