কোটচাঁদপুরটপ লিড

কোটচাঁদপুরে ধ’র্ষণের অভিযোগে ইউপি সদস্য আটক

এসএম রায়হান, ঝিনাইদহের চোখঃ

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে এক মহিলা ইউপি সদস্যকে ধ’র্ষণের অভিযোগে মোঃ সামাইল হক (৫০) নামে এক ইউপি সদস্যকে আটক করেছে থানা পুলিশ।

ধ’র্ষণের অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার দুপুরে বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য মোছাঃ মর্জিনা খাতুন বাদী হয়ে কোটচাঁদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মা’মলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই আসামী সামাউল হককে আটক করা হয়। আটককৃত সামাউল হক উপজেলার বকশিপুর গ্রামের মোঃ ছানার উদ্দীনের ছেলে।

মা’মলার এজাহার সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ফুলবাড়ী গ্রামের মৃত ফকির চাঁদ গাজীর মেয়ে ৪নং বলুহর ইউনিয়নের ৪নং সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য মোছাঃ মর্জিনা খাতুন (৪৫) এর সাথে পার্শ্ববর্তী কুশনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মোঃ সামাউল হকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

সম্পর্কের এক পর্যায়ে গত ১৪-০২-২০১৮ তারিখ বিকালে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে মৌলভী কাজী মোঃ ছব্দুল সাক্ষী মোঃ ইয়ারুল ইসলাম ও মোঃ জামাল উদ্দীনের উপস্থিতিতে মৌখিকভাবে ৪ লক্ষ টাকা কাবিনে বিবাহ সম্পন্ন করেন। বিবাহের পর থেকে ইউপি সদস্য মোছাঃ মর্জিনা খাতুন স্ত্রী হিসাবে ইউপি সদস্য সামাউল হককে বলেন। কিন্তু সামাউল বিভিন্ন বাহানা করে এড়িয়ে যায়। পরবর্তিতে সামাউল হক মর্জিনাকে কোটচাঁদপুর সনি আবাসিক হোটেল ও চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার হরিন নগর গ্রামের এক পরিচিত’র বাড়িতে নিয়ে দৈহিক মেলামেশা করতে থাকে।

বাদী মর্জিনা খাতুন এজাহারে উল্লেখ করেন, আমি একজন ইউপি সদস্য হওয়ায় আসামী সামাউল হক বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নেয়। এবং আমার সরলতার সুযোগে মিথ্যা বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে দৈহিক মেলামেশা করতে থাকে। গত ১৪ মে সকালে কুশনা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সামাউলকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহন করতে বলি। কিন্তু সে আমাকে স্ত্রী হিসাবে গ্রহন করবে না বলে জানায়। বিষয়টি নিয়ে উভয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সাথে নিয়ে মিমাংস করার চেষ্টা করেও কোন ফল হয়নি।

এ ব্যাপারে বলুহর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন জানান, দীর্ঘ দিন যাবত তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিবাহের কোন কাগজ পত্র দেখাতে না পারলেও আটকের পর থানায় তাদের বিবাহের কথা স্বীকার করেছেন।

কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুল আলম ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার (১১জুন) ইউপি সদস্য মর্জিনা খাতুন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংসোধনী/০৩ এর ৯(১) ধারায় মা’মলা দায়ের করেন। মা’মলা নং-২ । পরে তাকে আটকের পর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button