ঝিনাইদহে রাতের আধারে শিক্ষকের বাড়িতে মিথ্যা নোটিশ টাঙিয়ে ভয়ভীতির চেষ্টা
রাসেল আহাম্মেদ, ঝিনাইদহের চোখঃ
ঝিনাইদহে রাতের আধারে এক শিক্ষকের বাড়িতে সরকারী সম্পত্তি ঘোষণা করে মিথ্যা নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে কে বা কারা। গত ১৯জুন শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের নতুন কোর্টপাড়ার এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে এই নোটিশ টাঙানো হয়।
এবিষয়ে সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা যায়, বাড়ির চার পাশে দেয়ালে সরকারী সীল, স্বাক্ষর স্মারকবিহীন জেলা প্রশাসকের পক্ষে সরকারী জমির তফসিলে মৌজা-১২৬ গয়েশপুর (নতুন কোর্ট) হাল দাগ নং২৩৩ এবং সাবেক ১৮৭, হাল খতিয়ান-১এবং জমির পরিমান ৭শতক উল্লেখ করে ডিসিআর কাটার নোটিশ টাঙিয়ে দেন। তবে বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাক এবিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান।
বাড়ির মালিক আব্দুর রাজ্জাক বলেন ১৯৯৯ সালে চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নতুন হাওলিয়া গ্রামের মৃত দীন মোহাম্মদের ছেলে আব্দুল আজিজের নিকট থেকে ৬শতক জমি আমার স্ত্রী মঞ্জুয়ারার নামে ক্রয় করার পর থেকেই সেখানে আমরা পাকা বাড়ী করে বসবাস করে আসছি।
তিনি আরও বলেন জমি রেজিষ্টি সংক্রান্ত দাগ নম্বরে একটু জটিলতা থাকায় আমরা সেটা জানতে পেরে মালিকের নিকট থেকে পূণরায় ভ্রম সংশোধনের জন্য রেজিস্ট্রি করিয়াছি। বিষয়টি এখন সংশোধনের পথে। কিন্তু এই জমির রাস্তা নিয়ে সামনের প্রতিবেশির সাথে কয়েক দফায় ঝগড়া কলহ হয়েছে বলেও তারা জানান এই কারনে প্রতিবেশীদের কেউ এই ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও তারা ধারনা করছেন।
এই বিষয়ে জেলা প্রশাসকের অফিস সূত্রে খোজ নিয়ে জানা গেছে বিষয়টি তাদের অফিস থেকে দেওয়া হয়নি। সীল স্বাক্ষর স্মারক বিহীন এই নোটিশ ভিত্তিহীন।
পাগলা কানাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, চিঠিটি আমি দেখেছি এটা শত্রুতা ছাড়া আর কিছুই না, ইউনিয়ন ভূমি অফিস থেকে এই নোটিশ পাঠান হয়নি। রাস্তা নিয়ে একটা বিরোধ আছে বিষয়টি আমি মিমাংশার চেষ্টা করছি।
বাড়ির মালিক মঞ্জুয়ারা দম্পত্তি বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করেছেন এবং এই দূর্র্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।