ঝিনাইদহের মুজিবর রাশেদার চোখে রঙ্গিন স্বপ্ন নেই, ওরা চায় মাথা গোঁজার ঠাঁই
জাহিদুল হক বাবু, ঝিনাইদহের চোখ-
ভাঙ্গাচোরা বেড়ার ঘরে মুজিবর রাশেদার সংসার।শোবার ঘরের পাটখাটির বেড়া আর উপরে পলিথিনের ছাউনির রান্নাঘর।সাপ,ব্যাং আর কেঁচোর সাথে নিত্য যুদ্ধ। গ্রামের অনেকেই সরকারী ভাবে বাড়িঘর পেয়েছেন। কিন্তূ মুুুুজিবরের কপালে জোটেনি সরকারী বাড়ি।
সামন্য বৃষ্টি আর দমকা বাতাসে ঘরের ছাউনির সাথে নিজেদের প্রাণও উড়ে যায়। এ ভাবেই এই বৃদ্ধ দম্পত্তি বসবাস করছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। ঐ সমাজের মতিন, আবেদ খাঁ,তালেব, এর একই অবস্থা।এরা সবাই হত দরিদ্র দিন এনে দিন খায়।
এদের চোখে কোন রঙ্গিন স্বপ্ন নেই। এরা চায় একটু নির্ভরতা। মাথা গোজার ঠাঁই।জরাজীর্ন ছাপড়া ঘরে মানবেতর জীবনযাপন কাটাচ্ছেন তারা। যেখানে দু মুঠো খাবারের সন্ধান করতে গিয়েই হিম শিম খেতে হয়,সেখানে ঘর মেরামত করবে কিভাবে?
মুজিবর বলেন, চেয়ারম্যান আমাদের চাল ডাল দিয়েছে। আমার বয়স্ক ভাতা হয়েছে। তা দিয়ে এবং পরের কাজ করে সংসার চলে। কিন্তু মাথা গোজার একমাত্র জায়গাটুকু খুব খারাপ অবস্থা। তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে সরকারী ঘর দাবী করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে হলিধানী ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি জানান, রামচন্দ্রপুর গ্রামের ওই পরিবারকে আমি চিনি। করোনাকালীন সময়ে তাদের অনুদান দেওয়া হয়েছে।ঘরের ব্যাপারে খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।