ঝিনাইদহে আসামীদের হুমকীতে মামলার বাদী গ্রাম ছাড়া
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে আপন বড় ভাই এর ছেলে ও সন্ত্রাসী বাহিনির হামলায় ছোট ভাই আহত হয়। হামলার শিকার ছোট ভায়ের বউ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। সেই অপরাধে আসামীরা জামিন নিয়ে বাড়ী ফিরেই ছোট ভায়ের পরিবারকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ ও প্রাণনাসের হুমকী দিয়ে বাড়ী ছাড়া করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং প্রাণভয়ে বাদির পরিবার ১০দিন যাবৎ বাড়ি ছাড়া রয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মধুহাটী ইউনিয়নের শ্যামনগর গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মৃত জুয়াদ আলী মন্ডলের তিন ছেলের মধ্যে মজিদ ছোট ছেলে। বিদেশ থেকে কিছু টাকা আয় করে গ্রামে আলাদা ভাবে বাড়ীঘর তৈরী করে বসবাস করতে চায়, কিন্তু অন্যদুই ভাই সেটা মানতে নারাজ। সেকারনে তারা বার বার ছোট ভায়ের নিকট চাঁদা দাবি করে জোর করে টাকা আদায় করার চেষ্টা করে।
এনিয়ে চার দফা মজিদকে মারধর করেছে বলে জানাগেছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিচার শালিসের মাধ্যমে বারবার সমাধান হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২২ মে এই পারিবারিক কলহের জের ধরেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মজিদের আপন বড় ভাই অজগর ও আজিজের ছেলে রুবেল ও তার মামা রাহেন দলবল নিয়ে মজিদের উপর হামলা করে। এই হামলায় গুরতর আহত অবস্থায় পুলিশের হস্তক্ষেপে মজিদকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং তার বউ বুলু বেগম ২৩মে বাদি হয়ে সদর থানায় বড় ভাই আজগর, আজিজ, ভাস্তে রুবেল ও রাহেনসহ ১০জনের বিরদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা এবং লুটপাটের মামলা করে যার নং জি আর ৩০ তাং২৩মে। এই ঘটনায় দুই জন আসামী পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও কয়েকদিন পরে ভার্সুয়াল কোর্টের মাধ্যমে তারা জামিন হয়ে আসে। মামলার আসামীরা জামিন পেয়ে বাড়ী ফিরে এসেই বাদিকে নানা ভাবে প্রাণনাসের হুমকী দেয় এবং মাঠের মেহগনী গাছ, কাঠাল গাছ, পুকুরের মাছধরা, একটি সেলাই মেশিন, টেবিলের ড্রয়ার থেকে কিছু টাকা স্বর্ণালংকার লুটপাটসহ নানামুখী অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই অত্যাচারের কারনে মজিদ ও তার পরিবার ১০দিন যাবৎ বাড়ি ছাড়া রয়েছে।
এসব কারনে মজিদ সদর থানায় ওইসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আবার একটি অভিযোগ করেন। মজিদের তিন বোন তারাও তার ভাইকে বড় দুই ভাই অত্যাচার করে গ্রাম ছাড়া করার চেষ্টা করছে বলে জানান। মামলার আসামী মেজ ভাই আজিজ বলেন একটু ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে সামান্য ঘটনা ঘটছিল এনিয়ে থানায় মামলা পর্যন্ত গড়াবে তা আমাদের জানা ছিলনা, আর কোন সমস্যা হবে না তাকে বাড়ি আনার ব্যবস্থা করছি।
এবিষয়ে বাজার গোপালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন আমি বিষয়টি তদন্ত করেছি ভাই-ভায়ের ব্যাপার আমি মজিদকে ফাঁড়িতে আসতে বলেছি সে আমার সাথে দেখা করলেই বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যেত এবং আমি তার বাড়ীতে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করতাম।
মধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ জুয়েল বলেন বিষয়টি আমি শুনেছি আগেও একবার এদের নিয়ে শালিস বৈঠক হয়েছে আমি দ্রুতই ইউনিয়ন পরিষদে দুই পক্ষকে ডেকে সমাধানের ব্যবস্থা করব।মামলা সম্পর্কে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন মামলার চলমান আছে আর অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে সত্যতা পেলে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।