সাবজাল হোসেন, ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের কৃষকের ক্ষেতের পেপে গাছ কাটার ৪ দিন পরেই অন্য আরেক ভ’মিহীন কৃষকের প্রায় ১৫ শতক জমির ধরন্ত করলা গাছ কেটে দিয়েছে দূবৃর্ত্তরা। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ফয়লা মাঠে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবু সাঈদ ওই গ্রামের তাকের হোসেনের ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবু সাঈদ জানান, আমার নিজের কোন জমি নেই। গ্রামের লুৎফর রহমানের ৫২ শতক জমির একটি লিচু বাগান দেখাশুনার চুক্তিতে আমি ওই জমিতে বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষ করে আসছি। একপাশে আমি প্রায় ১৫ শতকের মত করলার চাষ করেছিলাম। বেশ পয়সা খরচও করেছি। ক্ষেতের করলা বর্তমান দামের বাজারে কয়েক দিন বিক্রি করে কিছু খরচ উঠাতে পেরেছি। কিন্ত বুধবার রাতে দুর্বৃত্তরা আমার সেই ধরন্ত করলার ক্ষেত কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। বলতে বলতে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ওই জমির মালিক লুৎফর রহমান জানান, ছেলেটির কোন জমি নেই। তাই আমার ওই লিচু বাগানটি দিয়েছি মাঝদিয়ে সবজি চাষ করার জন্য। এ জন্য আমি কোন পয়সা নিই না। আবু সাঈদ রাতদিন খুব পরিশ্রম করে ওই বাগানে বিভিন্ন সবজির চাষ করে সংসার চালায়। কিন্ত তার ধরন্ত করলা গাছগুলো কেটে দিয়েছে শুনলাম। মানুষ এতোটা নিষ্ঠুর হতে পারে ভাবতেই পারছিনা।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহাঃ মাহাফুজুর রহমান মিয়া জানান, এমন ঘটনা নিয়ে থানায় এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রানী সাহা জানান, ঘটনাটির কথা আমি শুনেছি। ওই কৃষককে বলেছি একটি লিখিত অভিযোগ দিতে। এরপর তিনি ব্যবস্থা নিবেন।
উল্লেখ্য, একইভাবে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার মল্লিকপুর গ্রামের কৃষক মাজেদুল ইসলামের ধরন্ত ৩ শতাধিক পেপে গাছ কে বা কারা কেটে সাবাড় দেয়। ধরন্ত ক্ষেতগুলো এভাবে অমানষিকভাবে কেটে নষ্ট করে দেয়ার ফলে তারা একবারে পথে বসে যাচ্ছেন।