করোনাকালীন আত্মহত্যা ও আমাদের মনস্তত্ব—–তুহিন আফসারী
ঝিনাইদহের চোখ-
মৃত্যুর খবর আমার কাছে সবসময়ই অস্বস্তিকর, অনাকাঙ্ক্ষিতও বেদনাদায়ক। আর তা যদি হয় কোন অপার সম্ভাবনাময় জীবনের অকালমৃত্য তবে সেই মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারিনা। এমনিতেই সারা পৃথিবীতে মৃত্যুর মহামারি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যুক্ত হচ্ছে এই মিছিলে। আমরা সবাই লড়াই করছি নিজেদের বাঁচিয়েরাখার জন্য। এই সময়ে কিছু প্রাণের অভিমানে ঝরে যাওয়া আমাদের লড়াই করা শক্তিকে থামিয়ে দেয়। আমরা বড় দূর্বল হয়ে পড়ি। কেন এই অভিমান, কেন এই আত্মহনন – এই প্রশ্নের সাথে বোঝাপড়া করতে করতেই আমরা আবার মুখোমুখি হয় পড়ি নতুন কোন দু:সংবাদে। স¤প্রতি কয়েকটি মৃত্যু আমাকে ভয়ংকর নাড়িয়ে দিয়ে গেছে। সেই কারণেই এই লেখার জন্ম।
ঘটনা এক:
কিশোরীটি ছিলো আমাদের সকলের খুব পরিচিত এবং আদর, স্নেহ-ভালবাসার পাত্রী। কিশোরীর মা আমাদের সহকর্মী ও বন্ধু, খুবই আপনজন। বাবার সাথেও আছে আমাদের সখ্যতা। মেয়েটি সেই ছোটবেলা থেকেই প্রায়ই তার মায়ের সাথে আমাদের অফিসে আসতো। ঢাকার বিখ্যাত স্কুলে পড়তো। আমাদের সহকর্মী আপা তাকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতো বা স্কুলে দিয়ে আসতো। স্কুলের সবুজ চেক শার্ট পড়ে মেয়েটি প্রায়ই হাসিমুখে এসে দাঁড়াতোআমাদের পাশে। আমাদের সকলের সাথেই তার নানান বিষয়ে নানানরকম ভাব বিনিময় হতো। তার বুদ্ধিদীপ্ত চোখ, নিষ্পাপ ও পরিমিত হাসি, পরিমিত ও গোছানো কথাবার্তা, প্রত্যুৎপন্ন প্রকাশ ও সারল্য আমাদের মুগ্ধ করতো। আমরা নিজেরা খুব বলাবলি করতাম, এই মেয়ে একদিন অনেক বড় হবে। অনেক বড় কিছু করবে। এরপর সে ভাল রেজাল্ট নিয়ে স্কুল শেষ করলো, কলেজ শেষ করলো। এর মধ্যে আমরা জানলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে খুব ভালো সাবজেক্টে ভর্তি হয়েছে। আমাদের সে কি খুশী। অপার সম্ভাবনাময়ী মেয়েটা ঠিকই বড় কিছু হবে। দুমকরে একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই জানলাম মেয়েটি আর নেই। অথচ দুদিন আগেও প্লান হলো, আমরা আবার ট্যুরে যাবো। একই হেডফোনে গান শুনতে শুনতে কাটবে আমাদের সময়। কথা রাখলোনা মেয়েটিরবাবা- মা, আত্মীয় আর আমাদের ভিষণকাঁদিয়ে চলে গেলো। জীবনের এই শ্রেষ্ঠ সময়কে অবজ্ঞা করে কি করে চলে যেতে পারলো সে?
ঘটনা দুই:
কর্মসূত্রে একসময় প্রায়ই নিয়মিত যাতায়াত রংপুরে। নানাবিধ কারণে রংপুর প্রিয় একটি শহর। রংপুর শহর, রংপুরের গ্রাম, রংপুরের মানুষ, তাদের ভাষা ও প্রকৃতি সব কিছুর সাথেইভালোলাগা আছে। এই শহরেই পরিচয় হয়েছিল একজন অসাধারণ, মানবিক মানুষের সাথে। ব্যবসায়ী কিন্তু ভীষণ উদার হৃদয়ের মানুষ। পরিবারেও উদার সাংস্কৃতিক চর্চা ও জীবনধারা ছিল। দারুণ আড্ডাবাজ মানুষটির সাথে বন্ধুত্ব হতে সময় লাগেনি। রংপুরে গেলেই আড্ডা চলতো আমাদের। এই আড্ডায় তার পুত্রের সাথে পরিচয় হয়েছিল। তখন সে শৈশব-কৈশোরের মাঝামাঝি। কি মিষ্টি ছেলে! এর মধ্যে সে স্কুল পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েছে। জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। শুনলাম সে আত্মহত্যা করেছে। কিভাবে সে এই বাধঁন ছিঁড়তে পারলো?
ঘটনা তিন:
গত কয়কেদিন ধরে সবধরণের মিডিয়াতে কয়েকটি আত্মহননের কথা ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অধিকাংশই অভিনেতা অভিনেত্রী। এরমধ্যে কেউ কেউ অনেক বিখ্যাত ও অনুপ্রেরণার ছিলেন। এদের মধ্যে সুশান্ত রাজপুত অন্যতম। ভারতীয় ক্রিকেটার এমএস ধোনীর চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা। অনেকের স্বপ্নের নায়ক ছিলেন তিনি। কি এক অজানা কারনে নিজেকে শেষ করে দিলেন তা আজ একটা রহস্যও বটে। অনেকেই মনে করছেন করোনাকালীন হতাশা, কাজের মধ্যে না থাকা, অর্থনৈতিক সংকট সহ বিভিন্ন অনিশ্চয়তা এই ঘটনা সমুহের জন্য দায়ী। কিভাবে এই যশ, নাম ছেড়ে এমন করতে পারলেন তিনি?
আত্মহনন আমাদের সমাজে নতুন কোন বিষয় নয়। আত্মহননের প্রবণতা অনেকের মধ্যে থাকে। তবে যে সমাজে মানবিক অনুভূতি, স্নেহ-ভালবাসা, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, সহযোগিতা এবং প্রকৃতির সাথে সংস্পর্শ কম সেখানে আত্মহননের প্রবণতা অনেক বেশি। আমরা সবাই জানি, করোনা আমাদের সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। এই সময়ে আমরা বড্ড একা হয়ে গিয়েছি যার যার চিন্তায়, ভাবনায়। তবে কি কথিত সামাজিক বিচ্ছিন্নতাই আমাদের কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে – এই প্রশ্ন এখন সামনে এসে দাঁড়াচ্ছে।
আমরা জানি মানুষ যখন নিজেই নিজের মৃত্যু ঘটায়, তখন একে আত্মহত্যা বা সুইসাইড বলে।স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চল, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, পূর্ব ইউরোপের দেশগুলো এবং জাপানে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি (লাখে পঁচিশের ওপরে)। গত ৫০ বছরে সারা পৃথিবীতে, মূলত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আত্মহত্যার হার শতকরা ৬০ শতাংশ বেড়েছে। সারা পৃথিবীর যত মানুষ আত্মহত্যার মাধ্যমে মৃত্যুবরণ করে, তার মধ্যে ২.০৬ শতাংশ বাংলাদেশি। বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রতি লাখে ১২৮.০৮ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। প্রতিবছর এই সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন ২৮ জন মানুষ আত্মহত্যা করে। করোনাকালীন মহামারিতে এই প্রবণতা ও সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই ধরণের পরিসংখ্যান চাইলেই আমরা দেখে নিতে পারি। বিভিন্ন উপায়ে আমাদের দেশে আত্মহননের পথ নেয়া হয়। কীটনাশক পান, ইঁদুর মারার বিষপান, ফাঁসি, ঘুম বা ব্যথার ওষুধ, হারপিক, স্যাভলন ইত্যাদি বিষাক্ত তরল পান করার মাধ্যমে মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। আমাদের সমাজে অল্পবয়সী ছেলে মেয়েদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি দেখা যায়।
কেন এই আত্মহনন?
বিভিন্ন কারণে মানুষ আতœহননের পথ বেছে নেয়। তবে যারা মানসিক নানা ধরণের সমস্যায় ভোগে তাদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি থাকে। সাধারণত বিষন্নতা, বাইপোলার মুড ডিজঅর্ডার, সিজোফ্রেনিয়া, পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার, মাদকাসক্ত, উদ্বেগে আক্রান্ত ইত্যাদি রোগীদের মধ্যে আত্মহত্যার অনেক বেশি। এই সমস্ত রোগীদের মধ্যে এক ধরনের তীব্র আশাহীনতা তৈরি হয়। দুনিয়ার সবকিছু তারা নেতিবাচকভাবে দেখে। তারা নিজের সম্পর্কে, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ও অন্য মানুষ সম্পর্কে নেতিবাচক চিন্তা পোষণ করে। তারা ভাবে, এই পরিস্থিতি দিন দিন আরো খারাপ হবে এবং এটি পরিবর্তনের জন্য শত চেষ্টায়ও কোনো লাভ হবে না। এর চেয়ে মুক্তির একমাত্র উপায় নিজেকে মেরে ফেলা। এই চিন্তায় তাড়িত হয়ে তারা আত্মহত্যা করে। অনেকই খামোখাই তীব্র অপরাধবোধে ভোগে। ফলে নিজেকে শাস্তি দিতেই তারা আত্মহত্যা করে।
এছাড়াও অর্থনীতিতে মন্দা দেখা দিলে আত্মহত্যার হার বেড়ে যায়। সমাজে যখন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, যখন মানুষ বিচ্ছিন্নতায় ভোগে, তখন আত্মহত্যার হারও যায় বেড়ে। রাজনৈতিক আদর্শের কারণে আত্মহত্যা করতে দেখা যায়। অনেকে বাধ্য হয়েও আত্মহত্যা করে। সম্মান রক্ষার জন্য কোনো কোনো সমাজে আত্মহত্যার রেওয়াজ প্রচলিত ছিল। দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত রোগীরা অনেক সময় আত্মহত্যা করে। অসুখের তীব্র যন্ত্রণা সইতে না পেরে অনেকে এই পথ বেছে নেয়। কোনো কোনো পেশার মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি দেখা যায়। ডাক্তার, ডেন্টিস্ট বা দন্ত বিশেষজ্ঞ, পুলিশ বা সশস্ত্র বাহিনীর লোক ইত্যাদি।
বাংলাদেশে পরিচালিত এক গবেষণায় পারিবারিক সমস্যা (৪১.২%), পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া (১১.৮%), বৈবাহিক সমস্যা (১১.৮%), ভালোবাসায় কষ্ট পাওয়া (১১.৮%), বিবাহবহির্ভূত গর্ভধারণ ও যৌন সম্পর্ক (১১.৮%), স্বামীর নির্যাতন (৫.৯%) এবং অর্থকষ্ট (৫.৯%) থেকে রেহাই পেতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
মনঃসমীক্ষণের জনক সিগমুন্ড ফ্রয়েডের মতে, যখন ভালোবাসার মানুষের প্রতি সৃষ্ট তীব্র রাগ ও আক্রমণাত্মক মনোভাব নিজের প্রতি ধাবিত হয়, তখন মানুষ আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার চেষ্টাকারীদের মধ্যে তার মৃত্যুর পর কী কী পরিস্থিতি হবে, কার কী কী প্রতিক্রিয়া হবে, তার মৃত্যুর ফলে কে কে গুরুতর কষ্ট (শাস্তি) পাবে, এসব বিষয়ে নানা রকম কল্পনা দেখা যায়। অনেকে এর মাধ্যমে নিজেকে শাস্তি দিতে চায়। অনেকে তার ভালোবাসার মানুষটিকে শাস্তি দিতে চাই।
আত্মহত্যার সতর্কসংকেত
যদি আপনার কেউ এমন বলা শুরু করে যে, আমি মরে যাবে, সবার থেকে অনেক দূরে চলে যাব। যদি সবার থেকে ক্ষমা চায়, বিদায় চায়, আত্মহত্যার পরিকল্পনার গল্প বলে বা আত্মহত্যার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগাড় করে তবে সেটা একধরণের সংকেত। যদি কারো ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া কমে যায় , আচার-আচরণে সাংঘাতিক পরিবর্তন ঘটে তবে তা ঝুঁকি নির্দেশক হতে পারে। এছাড়াও আত্মবিশ্বাস কমে গেলে, নিজেকে ঘৃণা করা শুরু করলে, নিজেকে অন্যের ওপর বোঝা মনে করলেও তা ঝুঁকি নির্দেশ করে।
আত্মহত্যার বিরুদ্ধে রক্ষা কবচগুলো কী:
তাহলে সর্বনাশা এই রাস্তা থেকে বাঁচারউপায় কী হবে? সাধারণত ভালোবাসাপূর্ণ পারিবারিক সম্পর্ক, জোরদার সামাজিক সম্পর্ক, আত্মনিয়ন্ত্রণ, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের সম্মানহানির কারণ বা ক্ষতির কারণ হওয়ার ভয়, ধর্মবিশ্বাস ও ধর্মচর্চা, ইতিবাচক চিন্তা করার প্রবনতা এই তান্ডব থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে।
পরিবারের সদস্য হিসেবে আপনি কী করবেন:
যদি কেউ আত্মহত্যার চেষ্টা করে বা আপনি কোন লক্ষণ টের পান তবে তার সাথে সময় কাটান। তার মধ্যে ইতিবাচক ভাবনা গড়ে তুুলুন। এতে যদি কাজ না হয় তবে তাকে মানসিক রোগের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। সে যে নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছে ও নিয়ম মানছে, তা নিশ্চিত করুন। তাকে একা ঘরে ঘুমাতে দেবেন না।
তাঁকে মানসিক সমর্থন দিন। তাঁর সমস্যাগুলো জেনে নিয়ে যতটুকু পারা যায়, সমাধান করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। সমাধানযোগ্য না হলে তাঁকে জানান যে এই বিপদের দিনে তাঁর সঙ্গে আপনি আছেন। তাঁর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। ভুলেও তাকে নিয়ে কটাক্ষ করবেন না। উসকানিমূলক কিছু বলবেন না। তার দুঃখের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। কোনো উপদেশ দেবেন না। শুধু শুনে যান।
প্রয়োজনে তাঁকে সাইকোথেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। সাইকোথেরাপি হলো এক ধরণের কথার চিকিৎসা। যদি তাঁকে আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছে এমন মনে করেন, তবে তাঁকে সাইকোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করান। দ্রæত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন। মনে রাখবেন, জীবন শেষ হয়ে গেলে আর ফেরত আসবে না। যারা আতœহননের চিন্তা করছেন বা করেন এবারের কথাগুলো তাদের জন্য। আপনার কাছে আপনার জীবনের মূল্য না থাকলেও আপনার পরিবারে তা অনেক বেশি। আপনার না থাকা আপনার পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই ভালো থাকুন, মনোরোগের ডাক্তার দেখান, ওষুধ খান। নিয়মিত সাইকোথেরাপি নিন। খুব বেশি মরে যেতে ইচ্ছা হলে পরিবারের সদস্যদের, বন্ধুদের বলুন। তাঁদের সমর্থন নিন। ইতিবাচক চিন্তা করার চেষ্টা করুন, বই পড়ুন অথবা বাইরে থেকে ঘুরে আসুন। আমাদের মনে রাখা দরকার, এসব দারুন সম্ভাবনাময়ীদের আত্মহননের পথ বেদনাদায়কতো বটেই তার চেয়ে অনেক বেশি আশংকাজনক ও আশু বিপদের পূর্ব সতর্কতা। এই বিপদবার্তা যত দ্রæত উপলব্ধি করবো ততই আমাদের জন্য মঙ্গল জনক। যেসকল পরিবার এই ঘটনার শিকার হচ্ছেন তাদের জন্য সমবেদনা। পরিবারের মানুষেরা এই গভীর শোক কাটিয়ে উঠার শক্তি অর্জন করুক এই কামনা করি। মন খারাপ, আত্মহত্যা এই সময়ে করোনার মতো ছোঁয়াচে না হোক। ভাল থাকা, সুখ, বাঁচার ইচ্ছা ছোঁয়াচে হোক।সবার মধ্যে সুন্দর ও নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার শুভবোধ জেগে উঠুক। পৃথিবী সকলের সমান বাসযোগ্য হোক।
তুহিন আফসারী, উন্নয়ন কর্মী
tuhin.afsari@thp.org , https://www.facebook.com/tuhin.afsari