খেলা ও প্রতিদ্বন্দ্বী—-গুলজার হোসেন গরিব
ঝিনাইদহের চোখ-
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় কেটেছে অনেককটি বছর
নিজেদের সেরা পালোয়ান মনে করে
আঙিনায় কতো লাফালাফি করেছে
সাহেবদের ছেলে মেয়েরা। ভাবতাম এঁদের
ক্ষমতার কাছে কোনো প্রতিপক্ষই টিকে থাকবে না।
পাড়ায় বেরোলে তাঁদের দম্ভের দাপটে
হতদরিদ্র প্রাণীগুলো থত্থর করে কাঁপতো
মধ্যবিত্ত সাহসীরা তারা কাঁদতেও পারতো না
রুখতেও পারতো না।
আমরা গণতন্ত্র দেশে রাজতন্ত্রের শাসনে জীবিতমাত্র
জীবন্ত হওয়ার স্বপ্ন আগছার মতন পরিষ্কার করে
রাষ্ট্র তন্ত্রের যন্ত্র বাহিনীরা তাদের কার্যক্ষমতা দেখাতে
থাক সে কথা, বলবো অন্যকোনো সময়।
প্রতিযোগিতার ট্রফি ছেড়েছে প্রকৃতিপক্ষ
প্রতিযোগী যে কেউ, যে কোনো বয়সের হতে পারবে
কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই অংশ নেয়ার জন্য।
ক্ষমতাবলে সাহেবদের ছেলে মেয়েরাই
আগে নাম লিখিয়েছে, পরিবেশের নিয়মানুসারে
তাঁরাই নাকি প্রাপ্য। হতদরিদ্র প্রাণীগুলো থেকেও
কিছু জ্ঞানপ্রতিবন্ধী নাম লিখিয়েছে অজান্তে।
এ খেলার নাম; টিকে থাকা, প্রতিপক্ষ প্রকৃতি।
খেলা শুরু হয়েছে কয়েকমাস হলো
সাহেবদের দাপুটে শক্তিশালী ছেলে মেয়েরা
হেরে যাচ্ছে ক্রমাগত, যাঁরা কোনোদিন বিশ্বাস করেনি
তাঁদের সাথে লড়তে কোনো প্রতিদ্বন্ধী থাকতে পারে।
টিকে থাকার মধ্যে কঙ্কালসার কিছু জ্ঞানপ্রতিবন্ধী
ছেলে মেয়েরা এখনো টিকে আছে।
সাহেবরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারছে না সমাজে
মান বাঁচাতে খেলা বন্ধ করার জন্য ভিন্ন পদ্ধতি।
সাহেবরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তাঘাট, দোকানপাট,
যোগাযোগব্যবস্থায় সীলগালা ঝুলিয়ে দিয়েছে
দেখার জন্য জ্ঞানপ্রতিবন্ধীরা কীভাবে টিকে থাকে।