ঝিনাইদহের চন্ডিপুর-পার্বতীপুরে সংশপ্তক’র আয়োজনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প
মামুন সোহাগ, ঝিনাইদহের চোখ-
করোনায় টালমাটাল অবস্থা। প্রান্তিক মানুষেরা শহুরে চিকিৎসা নিতে যেতে পারছে না করোনা আতঙ্কে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের দূঃসময়ে মানুষের পাশে এসে দাড়িয়েছে স্বেচ্ছাসবী সংগঠন গুলো। খাদ্যসহায়তা, চিকিৎসা সহায়তায়, সচেতনতা বুদ্ধিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পথচলা ভূয়সী প্রশংসিত।
ঠিক তেমনই এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সংশপ্তক’। ‘মানবসেবার দৃঢ় প্রত্যয়ে’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহের চন্ডিপুর-পার্বতীপুরে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের চন্ডিপুর-পার্বতীপুর গ্রামে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়। স্থানীয় ইউপির ৩ নং ওয়ার্ডের তরুণদের উদ্যোগে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সংশপ্তকের আয়োজনে এ ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প।
যশোর এইচ.এম মেডিকেল কলেজ ও শৈলকূপা ডায়াবেটিক সমিতি থেকে আগত ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মেডিকেল ক্যাম্পে আগতদের সেবা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বুয়েট পড়ুয়া শিক্ষার্থী নাসির হোসাইন, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইসলাইল সরকার, সশস্ত্র বাহীনির সদস্য আলমগীর পাভেল প্রমুখ।ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ স্বেচ্ছাসেবক টিম। করোনাকালে শুধু ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পই নয় ; সংশপ্তক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পথচলায় রয়েছে সুদীর্ঘ পরিকল্পনা।
খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার বিবেচনায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সংশপ্তক’র অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়া অসহায়, হতদরিদ্র, এতিম ও প্রতিবন্ধীদের আর্থিক সাহায্য প্রদান করা এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুনর্বাসন করা, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে সসহায়তা, শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, ব্লাড ব্যাংক প্রতিষ্ঠা, শিশুদের বাধ্যতামূলক শিক্ষার ব্যবস্থা করা, বৃক্ষরোপণ, বাল্যবিবাহ রোধকরা সহ নানামুখী স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এ সংগঠনটি।
সংশপ্তক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ইসলাইল সরকার বলেন, ‘গ্রামের মানুষ করোনা আতঙ্কে শহরের কোনো হাসপাতালে যেতে পারছেনা। অনেক মুরুব্বি, বৃদ্ধা কোনঠাসা হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে। তাই আমরা এলাকার অনার্স পড়ুয়া তরুণেরা মিলে সংশপ্তক ব্যানারে এক হয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেছি। যাতে করে মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পায়।’