কোরবানির আগে ঝিনাইদহে বেড়েছে গরু চুরি, দিশেহারা খামারীরা
ঝিনইদহের চোখ-
গরু চোরের দল হানা দেয় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বড় গড়িয়ালা গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দীনের বাড়িতে। টের পেয়ে যান গৃহকর্তা। দৌড় শুরু করেন চোরের পিছু পিছু। এক পর্যায়ে রাস্তার উপর দাড়িয়ে থাকা ট্রাকে উঠে গরু ফেলেই পালিয়ে যায় চোরের দল। যাওয়ার সময় জনৈক চোর চলন্ত ট্রাকের উপর থেকেই নাসিরের উদ্দেশ্যে বলতে থাকে ‘তোর গরু ছাড়া রয়েছে, বাড়ি ফিরে গোয়ালে তোল’। এ ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতা গোটা মহারাজপুর ইউনিয়নের কৃষকদের অর্জিত হচ্ছে। কারো চুরি হওয়া গরু পাচ্ছে, আবার কেও পাচ্ছেন না। তাই গ্রামে গ্রামে রাত জেগে গোয়াল পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।
মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদের দেওয়া তথ্য মতে তার এলাকার বিভিন্ন গ্রামে থেকে ১৫/২০ জন কৃষকের গরু চুরি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন বিষয়খালী গ্রামের ছব্দুল, আব্দুর রাজ্জাক, নৃশিংহপুরের রিপন, খড়িখালীর আশা, কানুহরপুরের জাহাঙ্গীর, ভরপুরের রেজাউল, দোকানঘরের মনিরুল, খামারাইলের আব্দুস সাত্তার, বড় খড়িখালী গ্রামের খোকা আধীকারী ও মহারাজপুরের খোরশেদ আলম।
কৃষকরা অভিযোগ করেছেন, ঝিনাইদহ শহর থেকে ট্রাক ভাড়া করে চোরেরা গ্রামে প্রবেশ করে। কিন্তু তেতুলতলা বাজার ও দোকানঘরের কাছে পুলিশের টহল টিম থাকলেও তারা এ পর্যন্ত কোন ট্রাক আটক করতে পারেনি। কৃষকদের অভিযোগ পুলিশ টহল জোরদার করা প্রয়োজন।
বিষয়টি নিয়ে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খুরশিদ আলম জানান, তার এলাকায় দিনকে দিন গরু চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন। অনেক হতদরিদ্র পরিবার গরু পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখলেও গরু চুরির ফলে তারা পথে বসেছে। তিনি বলেন গরু চুরি প্রতিরোধ করতে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি গ্রামে গ্রামে পাহারা দিতে বলেছেন। আমরা সেই পথেই হাঁটছি।