ডাকবাংলা বাজার-কালীগঞ্জ নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দিলেন ইউএনও
ঝিনাইদহের চোখ-
ঝিনাইদহের ডাকবাংলাবাজার-কালীগঞ্জ সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বদরুদোজা শুভ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, সরোজমিন পরির্দশনের অত্যান্ত নিন্মমানের রড, পাথর, বালি সিমেন্ট ব্যবহার করে সড়কটির পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে মর্মে সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন । এরপর ঘটনাস্থল থেকে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দারের মোবাইল ফোনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। সেসময় নির্বাহী প্রকৌশলী সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর সাথে কথা বলতে বলেন তাকে। তিনি (সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ) আরো জানান এক পর্যায়ে নিমার্ণ কাজে ব্যবহার করা নিন্মমানের পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রী নিজে হাতে সংগ্রহ করেন এবং কাজ বন্ধ রাখার জন্য প্রকাশ্যে নিদের্শ দান করেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেনসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তাগন।
এদিকে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মুকুল জ্যতি বসু অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সিডিউল মোতাবেক নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি আরো বলেন, পিএমপি প্রকল্পের অধিন ঝিনাইদহের ডাকবাংলাবাজার-কালীগঞ্জ সড়কের ২৩ কিলোমিটার মজবুতি করণসহ ওয়ারিংকোর্সের কাজ চলছে।
খুলনার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড কাজটির প্রকৃত ঠিকাদার। তবে বাস্থবে কাজটি করছেন স্থানীয় ঠিকাদার মিজানুর রহমান মাসুম। এ সড়কটির নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় কুড়ি কোটি টাকা। তিনি আরো বলেন সড়কের পানি নিস্কাশনের জন্য ডাকবাংলা বাজার এলাকায় ২১২ মিটার পাকা ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। এ কাজের জন্য আলাদা ভাবে অনুমান ২৬ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ড্রেনটি নিমার্ণ কাজের জন্য আমিনুল হক এন্টার প্রাইজ নামের অপর এক ঠিকাদারকে নিয়োগ করা হয়েছে। সদর উপজেলা নিবার্হী অফিসার কাজ বন্ধ রাখার জন্য নিদের্শ দিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্ন ছিল তার কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, হ্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজ বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তবে তার দাবি সড়কের পাশে স্তুপ করে রাখা নিন্মমানের পাথরসহ নির্মাণ সামগ্রী আগে থেকেই বাতিল ঘোষনা করা হয়েছে। উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আরো বলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা হওয়ার পরে (বুধবার) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং আগামীকাল বৃহস্পতিবার ফের যাবেন তিনি।
এলাকাবাসিরা অভিযোগ করেছেন, ডাকবাংলাবাজার-কালীগঞ্জ সড়ক নির্মানের সময় ট্রাকটর দিয়ে রাস্তায় চাষ করা হয়েছে। সড়কে ব্যবহার করা হয়েছে নিন্মমানের ইটের খোয়াসহ বালি। গত অর্থ বছরে কাজটি শুরু করা হয়েছে।