ঝিনাইদহে শ্বশুর বাড়িতে এসে জামাই গ্যাড়াকলে
জাহিদুল হক বাবু, হলিধানী, ঝিনাইদহের চোখ-
ভূয়া বিয়ে করে শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে এসে গ্যাড়াকলে মাগুরার এক যুবক। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
যানা যায়, সদর উপজেলার হলিধানী ইউনিয়ন এর কাশিপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে মিমি (২৬), এবং মাগুরার লিয়াকত আলীর ছেলে সোহাগ (৩২) এরা ঝিনাইদহ বিসিক শীল্প এলাকায় চাকরি করত,সেখান থেকেই তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর মাঝে গত পাঁচ মাস পূর্বে সোহাগ কোর্টে এক দালাল ম্যানেজ করে মিমি কে বিয়ে করে।ক্ষতিয়ে দেখা গেছে যার কোন বৈধতা নেই।
হলিধানী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক পারভেজ মিয়া প্রতিবেদককে জানান, সিরাজুল চাচা একজন সরল সোজা মানুষ।উনার মেয়ে মিমি মাঝে মাঝে এলাকায় নতুন লোক নিয়ে আসে, তারই সুত্রধরে সন্দেহ হলে যাচাই করে দেখা যায় তাদের বাড়িতে আসা যুবককের সাথে বিয়ের কোন বৈধতা নেই,অথচ আজ পাঁচ মাস ধরে সংসার করছে। এলাকার মানুষের তোপের মুখে ২২ জুলাই বুধবার সকালে ভোরে এলাকার সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মিমিকে নিয়ে সোহাগ যখন পালিয়ে যাচ্ছিল, তখন এলাকার যুবকরা তাকে হলিধানী বাজারে বসিয়ে,জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে সে একাধিক বিয়ে ও ভারতে তার স্ত্রী সন্তান রয়েছে বলে জানায়।
এ ব্যাপারে সোহাগ বলেন,মিমিকে পাঁচ মাস পূর্বে বিয়ে করেছি, বিয়ের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করলে সে জানায়,কোর্টে দালাল ধরে টাকার বিনিময়ে তাকে ভূয়া কাগজ করে ঝিনাইদহে বিয়ে দেন।
এদিকে বিচারকরা,সোহাগের পরিবারের সাথে কথা বলতে চাইলে, সোহাগ জানায় বাসার সব নম্বর বন্ধ। এলাকাবাসীর ধারনা এই ছেলে প্রতারক চিটার। বর্তমানে সে সিরাজুলের জিম্মায় আছে।