ক্যাম্পাসমহেশপুর

মহেশপুরে শিঃ সঃ সাঃ সম্পাদককে কুপিয়ে জখম/থানায় অভিযোগ

জিয়াউর রহমান জিয়া, মহেশপুর, ঝিনাইদহের চোখ-

গতকাল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও উপজেলার ফতেপুর শামছদ্দীন সর্দার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হালিম সর্দার (৫২) কে কুপিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা।

এ নিয়ে শিক্ষক আব্দুল হালিম বাদী হয়ে ঐ রাতেই প্রতিপক্ষ ছানাউল্লাহ ও আলমগীর হোসেনের নাম উল্লেখ করে মহেশপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে উপজেলার ফতেপুর ইউপির চাঁদপুর গ্রামের মৃতঃ শামছুদ্দীন সর্দারের পুত্র আব্দুল হালিম সর্দার গ্রামের পাশে বাসপোলের মাঠে প্রায় ২ বিঘা জমিতে আউশ ধান লাগিয়ে পরিচর্যা করে আসছিল। অপর দিকে রাখাল ভোগা গ্রামের মৃতঃ জলিল মন্ডলের ছেলে ছানাউল্লাহ এবং তোফা মন্ডলের ছেলে আমলগীর হোসেন ধানের পাশে অন্যের জমি লিজ নিয়ে কলা গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করে আসছে। কলা গাছের শুকনো ঝুলন্ত পাতা ধানের মধ্যে চলে আশায় আব্দুল হামিল মাষ্টার ঐ গাছের ঝুলন্ত পাকা পাতা গুলো কেটে দেয়।

এতে কলা চাষী সানাউল্লাহ এবং আলমগীর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা সঙ্গবদ্ধ হয়ে হাতে লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শিশুতলা বাজারে অবস্থিত হালিম মাষ্টারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে অতর্কিতভাবে আলমগীর তার হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মুখে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে, এছাড়া ছানাউল্লাহ লাঠি দ্বারা মাথা সহ শরীরে বিভিন্নস্থানে আঘাত করে।

এসময় স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে হালিমকে দ্রত উদ্ধার করে মহেশপুর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। বর্তমান সে বাড়িতে অবস্থান করছে এবং হাসপাতালের ডাক্তার দ্বারা চিকিৎসা নিচ্ছে। তবে তার মুখের অবস্থা ভালো নয়। দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মুখো মন্ডল ফোলে গেছে, এতে সে কিছুই খেতে পারছে না।

এবিষয়ে কলা চাষী আলমগীরের চাচা শুকুর আলী জানান, হালিম মাষ্টার ওদের কলা গাছের ডেগো কেটে দেওয়ায় এই গোল মালের সৃষ্টি হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

এব্যাপারে মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, শিক্ষক আব্দুল হালিম একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এবং ঐ রাতেই আসামীদের ধরার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। আসামীগন বাড়িতে না থাকায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, তবে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button